সম্রাটের ব্যাংক হিসাব জব্দ

0
191

‘ক্যাসিনো খালেদ’ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের অবস্থান ছিল কাকরাইলে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে। তবে সোমবার থেকে তার অবস্থান নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছেন সোমবার তিনি বিদেশে পালিয়ে গেছেন; কেউ বলছেন, না, তিনি কোথাও যাননি, দেশেই আছেন এবং কাকরাইলের কার্যালয়েই আছেন। তার অবস্থান নিয়ে এমন নানামুখী গুঞ্জন রয়েছে। গতকাল থেকে বন্ধ রয়েছে সম্রাটের ব্যবহূত তিনটি মোবাইল ফোন নম্বর।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ক্লাবে ক্যাসিনো বা জুয়ার আসর বসানোর বিষয়ে অভিযুক্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।

সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরের এ সংক্রান্ত একটি আদেশ দেশের বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে দায়িত্বরত ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে।

পুলিশের উচ্চপর্যায়ের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র অনুযায়ী, সম্রাট এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে। এ অবস্থায় তিনি যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারেন সেজন্য বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সূত্র জানায়, ক্যাসিনো নিয়ন্ত্রণসহ সম্রাটের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এরইমধ্যে যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওনের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীকে গতকাল সোমবার চিঠি পাঠিয়ে এ সংশ্লিষ্ট তথ্য চাওয়া হয়েছে।

কাকরাইলের যে ভবনে সম্রাটের কার্যালয়, গতকাল মঙ্গলবার সেই ভবনে গিয়ে দেখা যায়, নিচতলার প্রধান গেটে তালা ঝুলছে। ভেতরের দিকে তিন নিরাপত্তা কর্মী বসে আছেন। তাদের একজন জানান, সম্রাট অসুস্থ। চারতলায় নিজ কার্যালয়েই অবস্থান করছেন। তবে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি নেই।

তারা বলেন সম্রাটের বাঁ পায়ে পানি জমেছে। তিনি কোথাও বের হচ্ছেন না। আরেকটি সূত্র বলছে, সম্রাটের মা পান্থপথের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোমবার তিনি মাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। দায়িত্বশীল একজন পুলিশ কর্মকর্তাও কাকরাইলের কার্যালয়ে সম্রাটের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। অবশ্য গতকাল সরেজমিন ঘুরে সম্রাটের কার্যালয়ের নিচে সেই চিরচেনা দৃশ্য চোখে পড়েনি। আগে সবসময় নেতাকর্মীর আগমনে সরগরম থাকত ভবনটি ঘিরে। কিন্তু এখন পথচারী ছাড়া নেতাকর্মীদের আনাগোনা নেই সেখানে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here