যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ার পর এবার আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওসারকেও অব্যহতি দেয়া হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার এক বর্ধিত সভায় অংশ নিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি অলরেডি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি। নেত্রীর নির্দেশনা আমি তাকে জানিয়েছি।
রাশেদ খান মেননের দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মেনন সাহেব এখন উল্টো সুরে কথা বলছেন। তিনি ইউটার্ন নিয়ে ফেলেছেন অলরেডি। তিনি বলেছেন, তিনি এভাবে বলেননি। তার বক্তব্যটা খণ্ডিতভাবে প্রকাশ করা হয়েছিল। তিনি একটি দলের সভাপতি পত্রপত্রিকায় খবর আসছে। এর প্রতিক্রিয়া এবং অন্যান্য বিষয় আছে তাদের দলের মূল্যায়নে তার অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে আগামী দিনগুলোতে, সেটা আমার মন্তব্য করা সমীচীন নয়।
তিনি বলেন, আমার সঙ্গে ১৪ দলের সমন্বয়ক নাসিম ভাইয়ের কথা হয়েছে। তারা রাশেদ খান মেননের বক্তব্য নিয়ে নিজেরা আলাপ আলোচনা করেছেন। বিষয়টি আলাপ আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে পরে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে আমি এটুকু বলতে পারি শরিক দলের একজন নেতার জন্য ১৪ দল ভাঙতে পারে না। ১৪ দল অটুট থাকবে।
২০১২ সালে ১১ জুলাই স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পান মোল্লা মো. আবু কাওসার। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে ক্যাসিনো কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে।
২০১৫ সালে কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর আরামবাগের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ক্যাসিনো চালু করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক ওরফে সাঈদ। ক্যাসিনো কাণ্ডে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে এ ক্লাবের সভাপতির দায়িত্বে আছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসার। এ ক্লাবে র্যাবের অভিযানের পর ক্যাসিনো কাণ্ডে মোল্লা মো. আবু কাওসারের সংশ্লিষ্টতার খবর ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগ নেতার পরিচয় দেয়া জি কে শামীমের সঙ্গেও মোল্লা কাওসারের ঘনিষ্ঠতার খবর গণমাধ্যমে এসেছে। একচেটিয়া গণপূর্ত বিভাগের কাজের দরপত্র নিয়ন্ত্রণে জি কে শামীমকে সহযোগিতা করার অভিযোগ আছে মোল্লা কাওসারের বিরুদ্ধে।