‘বুলবুলের’ তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড ভোলা ও সাতক্ষীরা

0
262

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে ভোলার লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলায় ৩০টি বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কয়েকজনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা ও গুরুতর আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলি’র প্রভাবে এসব বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়। আজ (রোববার) সকাল ১০টা পর্যন্ত ভোলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারি বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস বইছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঝড়ের প্রভাবে ভোলার লালমোহন উপজেলার গজারিয়া, চর উম্মেদ, লর্ডহার্ডিঞ্জ ও চরফ্যাশন উপজেলার ওসমানগঞ্জ এলাকায় ৩০টি কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ঘর ও গাছ পরে ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা প্রদান ও গুরুতর আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এছাড়া প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে সাতক্ষীরার উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলা। বিধ্বস্ত হ‌য়ে‌ছে সহস্রাধিক ঘরবা‌ড়ি। ঝড়ে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কাচা ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।

উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ মণ্ডল বলেন, ঝড়ে সব কিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। রাস্তাঘাটে গাছপালা পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। মানুষের মাটির ঘরবাড়ি একটিও নেই। মানুষের মাছের ঘের ভেসে গেছে। প্রচণ্ড বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া ভোররাত থেকে শুরু হয়ে এখনও চলছে।

ভোলার  জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, ঝড়ে যাদের ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে তাদের প্রত্যেককে ঘর নির্মাণের জন্য দুই বান্ডিল টিন ও ৬ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। আর যারা মারাত্মক আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার জন্য নগদ ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।

তিনি আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন থেকে ব্যাপক প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৩ লাখ ২৮ হাজার মানুষ আশ্রয় নেন। এছাড়া মুজিব কিল্লায় লক্ষাধিক গবাদি পশু নিরাপদে রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here