ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ, জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতিসহ জ্বালানি ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি তেল সরবরাহে অচলাবস্থা নেমে এসেছে।
রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের সব পেট্রল পাম্পে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
জ্বালানি তেল বিক্রির প্রচলিত কমিশন বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবি করছেন আন্দোলনরতরা। বেশ কিছু পেট্রল পাম্প বন্ধ থাকায় বিভিন্ন স্থানে জ্বালানির অভাবে থেমে গেছে গাড়ি।
বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি এমএ মোমিন দুলাল বলেন, “রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের প্রায় দুই হাজার পেট্রোলপাম্পে জ্বালানি তেল সরবরাহ ও বিক্রি বন্ধ রয়েছে।”
সংগঠনটি গত ২৬ নভেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির আয়োজনে বগুড়া প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ১৫ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারকে আল্টিমেটাম দেন। তারা জ্বালানি তেল বিক্রির ৭.৫ শতাংশ কমিশন, প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংক লরির শ্রমিকদের ৫ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রথা প্রণয়ন এবং ট্যাংক লরি চলাচলে পুলিশি হয়রানি বন্ধ দাবি জানান।
এমএ মোমিন দুলাল বলেন, “জ্বালানি সচিব ১৫ দফা দাবি নিয়ে আগামী ১৫ ডিসেম্বর তার অফিসে আমাদের সাথে একটি সভা আহ্বান করে চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠি আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।”