আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিবি সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘আমি আশা করব আপনারা নিয়মনীতি মেনে, শৃঙ্খলার সঙ্গে এবং নিষ্ঠার সঙ্গে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। আপনারা দেশের সীমান্ত রক্ষায় পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।’
বুধবার রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিজিবি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাহিনী। এ বাহিনীর সদস্যরা শুধু সীমান্ত রক্ষা নয়, তারা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় এবং দেশের প্রয়োজনে যেকোনো সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। আমাদের বিজিবি বাহিনীর সদস্যরা সীমান্ত রক্ষায় বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় পিলখানা সদর দফতরে উপস্থিত হন। পরে পিলখানায় বিজিবি সদর দফতরের বীর-উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজিবি দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চোরাচালান, মাদক, সন্ত্রাস, অবৈধ অনুপ্রবেশ কঠোরভাবে বন্ধ করবেন। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেবেন না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্বের বুকে এখন আমাদের দেশ উন্নয়নের রোল মডেল। এই দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, সরকার সবার সুযোগ-সুবিধা-বেতন বাড়িয়েছে, দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনেছেন। তৎকালীন ইপিআর সমাবেশ তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন এবং আপনাদের প্রতি যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা যুগ যুগ ধরে চলবে। এ নির্দেশগুলো মেনে বাহিনীর দক্ষতার পরিচয় দেবেন এবং বিজিবির সুনাম অক্ষুণ্ন রাখবেন।
এ সময় মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গাদের থাকা-খাওয়াসহ যাবতীয় ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
বিজিবিকে আরও শক্তিশালী ও আধুনিকায়ন করে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এ জন্য বিজিবি ভীষণ ২০৪১ ঘোষণা করা হয়েছে। দুটি হেলিকপ্টারসহ দুর্গম এলাকায় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের যানবাহন সরবরাহ করা হয়েছে। ডগ স্কোয়াড গঠন করা হয়েছে। উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য চুয়াডাঙ্গায় আরেকটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট করা হয়েছে।
