সৌদি আরবের মক্কায় পবিত্র মসজিদুল হারামের আঙ্গিনায় স্থাপিত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ছাতা। তবে ছাতাগুলো এখনও উদ্বোধন করা হয়নি। প্রতিটি ছাতার উচ্চতা ৩০ মিটার এবং দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সমানভাবে ৫৩ মিটার। ছাতাগুলো এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ছাতা হিসেবে পরিচিতি পেতে যাচ্ছে। প্রতিটি ছাতার নিচে আড়াই হাজার মানুষ দাঁড়াতে পারবে।
বিশ্বের প্রথম ও সবচেয়ে পুরানো এ প্রচীন স্থাপনা অবস্থিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) জন্মভূমি উন্নত বিশ্বের প্রথম সারির মধ্যপ্রাচ্য সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা বায়তুল্লাহ কা’বা ঘর ঘিরে মসজিদুল আল হেরাম। রসুলের রওজা মোবারেক মদিনা মানোয়ার হেরাম শরীফের মাঠে ভাজ করা ছাতা থাকলও মক্কা হেরাম শরীফে নিমিত হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাঁজ করা ছাতা।
জানাযায়, ২০১৪-সালের ডিসেম্বর মাসে মক্কা-মদিনা হেরামের হাদেম ও সৌদি আরব সরকারের প্রধান প্রয়াত মালিক আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আল সাউদ প্রচন্ড গরম তাপ মাত্রর কথা চিনতা করে পবিত্র হজ্ব ও ওমরাহ আসা আল্লাহর মেহেমান হাজ্বী ও নিময়মিত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সুবিধার্তে এ বৃহত্তর ভাঁজ করা ছাতা নির্মাণ করার ঘোষনা দেন।
জেনারেল প্রেসিডেন্সি টু হলিমচ কোম্পানি নামে ঠিকাদার সৌদি সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এ ভাঁজ করা ছাতা নির্মাণের কাজ সম্পর্ন করবে। ইতোমধ্যে জাপান থেকে এসে কাজ শুরু করেছে প্রায় ২৫-জন ইঞ্জিনিয়ার সহ প্রয়োজনীয় টেকনিশিয়ান ও সেপটি এক্সপাট।
কেমন হবে ছাতা গুলো জানাগেছে, প্রতিটি ছাতা ৪৫-মিটার উঁচু ও প্রায় ১৬-টন ওজন হবে। প্রতি-টা ছাতা ২৪-স্কয়ার মিটার স্থান জুড়ে ছায়া দিতে সক্ষম হবে। হেরাম শরীফের উপরে ৮-টি হাই টেকনোলোজি সাইজের ছাতা বসানো হবে। হেরামে উত্তর পাশে ৫৪-টি ছাতা বসানো হবে। সবকটি ছাতা মিলে প্রায় ১৯-হাজার ২০০-শত স্কয়ার মিটার স্থান জুড়ে ছায়া দিবে। কা’বা শরীফের ছাদও মডেল ছাতার ছায়া তলে থাকবে।
নির্মিত ভাঁজ করা প্রতিটি ছাতায় বড় বড় ঘড়ি ও এইচডি স্কিনে তৈরি হবে ছাতায় হাজ্বীদের জন্য দিকনির্দেশনা লেখা থাকবে। ছাতা গুলো এসি সংযুক্ত গরমে ঠান্ড দিবে। হাজ্বীগণ ও প্রার্থনা কারীরা বিশ্রাম নিতে পারার মত ছাতার নিছে থাকবে ২২-টি বেন্স ও হাই সিকিউরিটি থাকবে। ছাতা গুলো সম্পূর্ণ হলে হেরামের উত্তর পাশ্বে ৪-লাখ মসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে। মদিনা মসজিদ নববীতে আগে থেকে ছাতা রয়েছে প্রতিটি ছাতা খোলার সময় এক মিনিট ব্যবধান থাকে যাতে করে একটি ছাতা আরেকটি ছাতার সাথে ধাক্কা না লাগে। খোলার সময় মনে হয় একটি ফুল ফুটছে বাগানে। এ ভাঁজ করা ছাতা নির্মিত হলে মক্কা বায়তুল্লাহ (কা’বা ঘর) ঘিরে মসজিদুল আল হেরামের দৃশ্য হবে অন্যরকম আরো সুন্দর।