ক্যাসিনোকাণ্ডে পলাতক এনু ও রুপন গ্রেপ্তার

0
268

হোটেল ব্যবসার আড়াতে ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শীর্ষ দুই আসামি পলাতক। সাম্প্রতিক সময়ের ক্যাসিনোকাণ্ডের মামলায় পলাতক শীর্ষ দুই আসামিকে বিপুল পরিমাণ অর্থসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তবে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নাম বা পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়নি। বিপুল পরিমাণ অর্থসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার বেলা ২টায় সিআইডি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এনামুল হক ও রূপন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানানসিআইডির গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন।

এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এবং তার ভাই থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়ার (পুরান ঢাকা ৩১ নম্বর বানিয়ানগর) বাসায় অভিযান চালিয়ে তিনটি ভল্ট থেকে এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা ও ৭৩০ ভরি সোনা উদ্ধার করে র‌্যাব। পরে ২৩ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে দুটি আলাদা মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় মোহামেডান, আরামবাগ, দিলকুশা, ওয়ান্ডারার্স, ভিক্টোরিয়া ও ফকিরেরপুল ইয়াংমেনস ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনোর ছড়াছড়ি। এর মধ্যে ইয়াংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সম্রাটের শিষ্য খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। বাকি পাঁচটি ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতেন ইসমাঈল হোসেন সম্রাটের লোকজন।

গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে প্রথম দিনই রাজধানীর ইয়াংমেনস ফকিরাপুল ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে গ্রেপ্তার হন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক (পরে বহিষ্কার করা হয়) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।

অন্যদিকে, এনামুলের ভাই রূপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের আরেক সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী। মামলার এজাহারে বলা হয়, রূপন ভূঁইয়া অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে নামে-বেনামে ১৪ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here