চকবাজারে আগুনে পুড়লো অর্ধশত ‘অবৈধ’ প্লাস্টিক কারখানা

0
142

রাজধানীর চকবাজারের নোয়াখালী ভবনে আগুন লেগে ৫০টির মতো ‘অবৈধ’ প্লাস্টিক কারখানায় পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের কর্মীরা পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিভিয়েছেন, তবে এরই মধ্যে ভবনের মধ্যে থাকা সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিদর্শক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে ৩টা ৪৫ মিনিটে চকবাজারের উর্দুরোড এলাকায় এ আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট শুক্রবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। তবে ভবনটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। শুধু দাঁড়িয়ে আছে কংক্রিটের কাঠামো।’

অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও চারতলা এ ভবনের কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০টি প্লাস্টিক কারখানা ও গুদামের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভবনের ঘুমন্ত লোকজন দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করে ছাদের ওপর দিয়ে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ও আতঙ্কে আশেপাশের ভবনের লোকজন বিনিদ্র রাত কাটান।

প্রত্যক্ষদর্শী নোয়াখালী ভবনের একটি প্লাস্টিক কারখানার শ্রমিক খোকন জানান, গত রাতে তিনি ওই ভবনের চারতলায় ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ও লোকজনের চিৎকারে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম থেকে উঠে দেখেন ভবনের সামনের দিকে আগুণের ভয়াবহ লেলিহান শিখা ও ধোঁয়া। ওই সময় তিনিসহ আরও কয়েকজন দৌঁড়ে ছাদে উঠে পাশের ভবনের ছাদে লাফিয়ে পালিয়ে যান। দূর থেকে চেয়ে দেখেন ভবনের নীচতলা থেকে চারতলা পর্যন্ত প্লাস্টিকের কাঁচামাল ও প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন মালামাল পুড়ে কাঁচামালের পোড়া গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে।

তিনি জানান, এ ভবনে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০টি প্লাস্টিকের কাঁচামাল ও মালামাল তৈরির সামগ্রী রয়েছে। গুদামে বস্তায় বস্তায় প্লাস্টিকের দানা ছিল।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় শ্রমিকদের শিফট পরিবর্তন চলছিল। তাই বেশি শ্রমিক সেখানে ছিলেন না। এক গ্রুপ কাজ শেষ করে অন্য গ্রুপ ফের কাজ শুরু করবেন—এমন সময় আগুন লাগে। আগুনের পর শ্রমিকরা দ্রুত বের হয়ে যান। দুজন বয়স্ক লোক আটকা পড়েছিলেন, তারাও পরে বের হয়ে আসেন। হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

ভবনটির একপাশ ধসে পড়েছে। বর্তমানে আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ভবনটি। চকবাজার থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্য সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here