রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটে (ব্লক-২) দোকানের বৈধতা দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলার দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে তদন্ত করে আগামী ৩১ জানুয়ারি প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন ওই মার্কেটের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী সরদার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ।
এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২-এর ব্লক-এ, বি, সি মূল বিল্ডিং-এর মুল নকশা-বহির্ভূত অংশ হিসেবে স্থাপনা তৈরি করে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দেন। ওই ঘোষণার পর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে যোগাযোগ করেন। তখন আসামিরা টাকা জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন। যাদের নামে দোকান বরাদ্দ আছে, তাদের ভুল বুঝিয়ে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২ এর মূল নকশা-বহির্ভূত এক্সটেনশন ব্লক-এ, বি, সিতে দোকান না নিলে মূল মার্কেটের দোকান মালিকদের দোকানের বরাদ্দ বাতিল করবে। এরপর তালা লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এক্সটেনশন ব্লক-এ বি,সি,তে দোকান বরাদ্দ নিতে বাধ্য করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, তৎকালীন মেয়রসহ অন্য আসামিরা অর্থ আত্মসাৎ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা বেনামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে গ্রহণ করেন। মামলার বাদী কোটি কোটি টাকা লেনদেনে বাধা দেওয়ায় আসামিরা তাকে প্রাণহানির চেষ্টা করেন। এছাড়া বরাদ্দের বিষয়টি বন্ধ করার জন্য আসামিরা হুমকি দিতে থাকে। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় বাদীর পরিবারের কথা চিন্তা করে তাদের বিরুদ্ধে জিডি করার সাহস পাননি। আসামিরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েও কোনো ডকুমেন্ট দেননি।