৩ সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৫৭৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে শেষ বিকেলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ৩২ রানেই ৪ উইকেট নেই বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত আলোকস্বল্পতায় দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে মাত্র ৩৮ রান। ৬ রানে মুমিনুল ও ৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠে নামবেন শান্ত।
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের ইনিংস দেখলে মনে হয় এটি পুরোপুরি ব্যাটিং পিচ। অথচ একই পিচে ব্যাট করতে নেমেই রীতিমতো চোখে সর্ষে ফুল শুরু করেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা। মনে হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার সময়ে ব্যাটিং পিচ বাংলাদেশ নামতেই হয়ে গেছে বোলিং পিচ।
প্রথম ইনিংসে কোনো বল না খেলেই ৫ রান দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের ব্যাটিং। ওই ওভার থেকেই শুরু, ৭ ওভারের মাঝে ৩২ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে স্বাগতিক দল। ৬ বলে ডাকে সাদমান ইসলাম, ২ রানে জাকির হাসান, ১০ রানে মাহমুদুল হাসান জয় ও ৩ রানে ফিরে যান হাসান মাহমুদ।
বাংলাদেশ শিবিরে প্রথম আঘাতটা হানেন কাগিসো রাবাদা। তার বলে ডাক মেরে ফিরে যান সাদমান। জাকির হাসানকেও শিকারে পরিণত করেন রাবাদা। ৮ বলে ২ রান করেন বাংলাদেশি ব্যাটার। মাহমুদুল হাসান জয়কে স্বাচ্ছন্দ্যই লাগছিল ক্রিজে। তিনি শিকার হন ডেন পিটারসনের। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমেছিলেন হাসান মাহমুদ। উইকেট হারিয়ে ফিরতে হয় তাকে। ৭ বলে বাংলাদেশি পেসার করেন ৩ রান। দিন শেষ হওয়ার আগে ৪ উইকেটে বাংলাদেশ করেছে ৩৮ রান।
ব্যাটিং স্বর্গ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম দিন ৮১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনার টনি ডি জর্জির সঙ্গে ২০১ রানের জুটি দিয়ে সেঞ্চুরি করে ফেরেন ত্রিস্তান স্টাবস। দ্বিতীয় দিনও ভালো শুরু করে তারা। কিন্তু লাঞ্চের আগে পরপর তিন ওভারে তিন উইকেট তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। উইকেটে জমে যাওয়া টনি ডি জর্জি ও ডেভিড বেডিংহামকে ৯৯তম ও ১০১তম ওভারে আউট করেন তিনি। পরের ওভারে এসে ফেরান কাইল ভেরায়েনেকে। চট্টগ্রাম টেস্টে প্রোটিয়াদের প্রথম ৫ উইকেটই নেন বাঁ-হাতি এই স্পিনার। পরে রিকেলটনকে ফিরিয়েছেন পেসার নাহিদ রানা।
রায়ান রিকেলটনের বিদায়ের পর জুটি গড়েন উইয়ান মুল্ডার ও সেনুরান মাথুসামি। শেষ পর্যন্ত দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে উঠে ১৫৪ রান। ১০৫ রানে মুল্ডার ও ৭০ রানে অপরাজিত মাথুসামি।