যুব এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দুবাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু হয়েছে তাদের শিরোপা ধরে রাখার মিশন। এদিন আফগানদের ৪৫ রানে হারিয়ে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ।
আগে ব্যাটিং করে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা ২২৮ রান সংগ্রহ করে। আফগানিস্তানও দারুণ জবাব দিচ্ছিল। তবে বাংলাদেশের বোলারদের দৃঢ়তায় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি তারা। আফগানিস্তানকে ১৮৩ রানে থামিয়ে বাংলাদেশ জয় নিশ্চিত করে।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচ টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ। এই ম্যাচে বাংলাদেশের ৬ ক্রিকেটারের ওয়ানডে অভিষেক হয়। ম্যাচটিতে আজিজুল হাকিম তামিমের সেঞ্চুরি ও কালাম সিদ্দিকির হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ দল ২২৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়।
জবাবে খেলতে নেমে আফগান যুবারাও কিছুটা দেখে শুনে শুরু করেন। তবে নবম ওভারে আফগান শিবিরে আঘাত হানেন মারুফ মৃধা। ওপেনার উজিরুল্লাহ নিয়াইজি (৫) রানে আউট হন। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেট জুটিতে বেশ প্রতিরোধ গড়েছিলে তারা। রাফিউজ্জামান রাফি ও আল ফাহাদ এই জুটি ভাঙার পর বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে ম্যাচটি চলে আসে। মিডল অর্ডার ও লেট অর্ডারের ব্যর্থতায় আফগানদের ইনিংস থামে ১৮৩ রানে। সর্বোচ্চ ৫৮ রান আসে ফয়সাল খানের ব্যাট থেকে। এই ব্যাটার তৃতীয় উইকেটে নাসের খানকে সঙ্গে নিয়ে ৫০ রানের জুটি গড়েন। নাসের খানের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে আল ফাহাদ ও ইকবাল হোসেন প্রত্যেকে তিনটি করে উইকেট নেন। মারুফ মৃধা নেন দুটি উইকেট। এছাড়া রাফি উজ্জামান রাফি নেন একটি উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ দল। দলীয় ৩ রানেই ভেঙে যায় বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। ইনিংসের পঞ্চম বলে জাওয়াদ আবরারকে (৫) ফিরিয়েছেন আবদুল আজিজ। এরপরই ব্যাটিংয়ে নামেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। ইনিংসের প্রথম ওভারে ব্যাটিংয়ে নেমে আউট হয়েছেন ৪৭তম ওভারে। মাঝের এই সময়ে খেলেছেন ১০৩ রানের একটি ম্যারাথন ইনিংস। তার লম্বা ইনিংসের পরও বাংলাদেশ খুব বেশি রান তুলতে পারেনি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে তুলতে পারে ২২৮ রান।
দ্বিতীয় উইকেটে ওপেনার কালাম সিদ্দিকির সঙ্গে ১৪২ রানের জুটি গড়েন তামিম। ৩৬তম ওভারের তৃতীয় বলে কালামের উইকেট নিয়ে জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ গজনফার। ১১০ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৬৬ রান করেন কালাম। এই জুটি ভাঙতেই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে। কালাম ও তামিমের পর তিন ব্যাটারের ব্যাট কেবল দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করেছে। শিহাব জেমন (১০), ফরিদ হাসান (১০) ও রাফি উজ্জামান রফি (১১) রানের ইনিংস খেলেছেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক ১৩২ বলে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। ৪৭তম ওভারের চতুর্থ বলে নুরিস্তানি ওমরজাইকে ছক্কা মেরে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন তামিম। পরের বলেই অবশ্য আউট হয়েছেন। সবমিলিয়ে ১৩৩ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ১০৩ রান করেছেন তিনি।
আফগানিস্তানের বোলারদের মধ্যে আজিজ, নুরিস্তানি, খাতির স্টানিকজাই ২টি করে উইকেট একটি করে উইকেট পেয়েছেন গজনফার ও নাসির খান মারুফখিল।