ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকলে চোর-ডাকাতের আতঙ্কে মানুষ যে ঘুমাতে পারে না তা মোহাম্মদপুরবাসী ৫ আগস্টের পর বুঝতে পেরেছেন। তাই আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধ দমনে পুলিশকে সহযোগিতা করুন। মোহাম্মদপুরের চাঁদাবাজরা মোহাম্মদপুরেরই বাসিন্দা। সুতরাং আপনার প্রতিবেশী খারাপ মানুষটিকে প্রতিহত করুন। ফুটপাতের চাঁদাবাজ চক্রের ওপর নজরদারি চলছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে মোহাম্মদপুরের রিং রোডে সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে পুলিশ, ছাত্র-জনতা ও মোহাম্মদপুর থানা এলাকার বাসিন্দাদের সমন্বয়ে আয়োজিত এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের প্রধান কাজ আপনাদের নিরাপত্তা দেওয়া। নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কাজ সবার আগে অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
ঢাকার পুলিশ প্রধান বলেন, নাগরিকদের স্বার্থে অটোরিকশার প্রয়োজন আছে। তবে অটোরিকশার সংখ্যা যাতে আর বৃদ্ধি না পায় সে ব্যপারে সতর্ক থাকতে হবে। কেন না অটোরিকশা বৃদ্ধিতে ঢাকা শহরে হাঁটার রাস্তা কমে যাচ্ছে। অটোরিকশা ব্যবহারে জটিলতা বাড়ছে। ফলে স্বল্প দূরত্বে অটোরিকশা নয়, হেঁটে চলাচলের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
কমিশনার বলেন, একটি অটোরিকশার পেছনে ৮০-৯০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে মালিকরা একদিনে ৫০০ টাকা নিচ্ছেন। আমরা যারা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বা অন্য পেশায় আছি, তারাও ১০ লাখ টাকা দিয়ে ১০টি অটোরিকশা নামিয়ে প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা পাচ্ছি। এক লাখ টাকা ব্যাংকে রাখলে এখন মাসে পাবেন এক হাজার টাকা। এজন্য অটোরিকশায় সবাই বিনিয়োগ করছে।
রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মিছিল-মিটিং খোলা রাস্তার পরিবর্তে কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় যদি করা যায়, তাহলে জনদুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হবে। রাস্তা অবরোধের চর্চা থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে আসতে হবে।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ রুহুল কবীর খান। সভায় অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ইসরাইল হাওলাদার, অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান, অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মাসুদ করিম, র্যাব-২ এর অধিনায়ক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।