নৌমন্ত্রী বলেন, বিএনপি পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিল। আর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন সেটা ১৩-১৪ নম্বরে নেমে এসেছে। শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব দেশকে দুর্নীতি মুক্ত রাখা। দেশকে উন্নয়নের পথে ধাবিত করা।
নৌমন্ত্রী আরো বলেন, খালেদা জিয়া জামায়াতকে ত্যাগ করতে না পারলে রাজনীতির মাঠ থেকে হারিয়ে যাবে। কারণ যুদ্ধাপরাধী জামায়াত হলো পাপে দুষ্ট। খালেদা জিয়া হলো মিথ্যায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। তার জন্মতারিখ হলো ছয়টা। যদি বিএনপি প্রমাণ করতে পারে আমি মিথ্যা বলছি তাহলে আমি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইবো।
তিনি বলেন, বিএনপি পদ্মাসেতু নির্মাণে অনেক বাধা সৃষ্টি করেও পারেনি। এরপর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন আমরা নাকি জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। তাই আমি বলতে চাই পদ্মাসেতু চালু হলে বিএনপির নেতাকর্মীরা যাতে পদ্মা সেতুতে না ওঠে। কারণ তাদের নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন পদ্মাসেতুতে না ওঠার জন্য।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জসিমউদ্দিন হায়দার, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, নগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, বিআইডব্লিউটিএ’র ঢাকা সদরঘাটের যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিন, আলমগীর কবির প্রমুখ।
সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেন, শকুনেরা আবারো চারদিকে প্রস্তুত হয়ে আছে থাবা দেওয়ার জন্য। কিন্তু আমি বলতে পারি বিএনপি-জামায়াত কিছুই করতে পারবে না। বাংলাদেশে এখন জামায়াত-বিএনপির কোনো ‘বেইল’ নাই। শেখ হাসিনা ছিলেন আছেন এবং থাকবেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘মিথ্যাবাদী’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘নিজের জন্ম তারিখ নিয়ে যিনি মিথ্যাচার করেন, তিনি দেশবাসীর সঙ্গেও মিথ্যাচার করেন। পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে, পদ্মা সেতুতে কেউ উঠবেন না—এসব কথা বলে তিনি মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন।’