বাংলাদেশের সামর্থ্য নিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন ওঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর। এই ব্যাপারে ওয়ালশ বলেন, ‘বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট খুব কম খেলে থাকে। তাই হয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে সাফল্য পায়নি। তবে ভবিষ্যতে সাফল্য পাবে বলে আমি আশাবাদী। দায়িত্ব শেষে বাংলাদেশি বোলারদের অনেক উন্নতি আমি দেখতে চাই। আমি বাংলাদেশের ব্যাপারে আশাবাদী।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পেস বোলিং কোচ হিসেবে কোর্টনি ওয়ালশ দায়িত্ব পান দুই বছর হয়েছে। টেস্টে প্রথম ৫০০ উইকেট নেওয়া সাবেক এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কার। এশিয়া কাপ নিয়ে ওয়ালশ জানিয়েছেন, তিনি দলের ব্যাপারে আশাবাদী।
বাংলাদেশের নতুন বোলারদের ব্যাপারে ধারণা করা হয়, দীর্ঘ সময় ধরে তাঁরা খেলায় মন বসাতে পারেননা। তাই ভক্তদের অনেকের কাছে মনে হয়েছে, বোলারদের উইকেটের ক্ষুধা নেই। তবে তা মানতে নারাজ সাবেক এই উইন্ডিজ পেসার। কোর্টনি ওয়ালশ বলেন, ‘আমি বলব না ক্ষুধা নেই। ওদের সুযোগ প্রয়োজন। একটি-দুটি ম্যাচে পারফরম্যান্স খারাপ করলে শোধরানোর সুযোগ দেওয়া উচিত। তরুণ ক্রিকেটাররা যথেষ্ট আগ্রহী। তারা শিখতে ও পারফর্ম করতে চায়।’
বাংলাদেশে বিশ্বমানের স্পিনার রয়েছেন অনেকেই। তবে সেই তুলনায় পেসারদের সংখ্যা অনেক কম। মাশরাফির পর পেসার হিসেবে অনেকে এসেছিলেন দলে। যেন সবাইকে পড়ে ফেলেছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা। পেসারদের উইকেট বেশি হলেও, স্পিন নির্ভর রয়ে গেছে বাংলাদেশ। তাই, নতুন বোলারদের উঠিয়ে নিয়ে আসার কাজ চলছে বলেও জানান ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সাবেক এই বোলার। তাঁর মতে, ‘তরুণ ক্রিকেটার উঠে আসছে ঠিকই। তবে তাদের দলে সুযোগ দেওয়ার ঝুঁকি নিতে হবে। এভাবে অপেক্ষায় রাখলে তারা কখনো খেলা শিখবে না, দলের জন্য প্রস্তুত হবে না।’
তবে তরুণদের সঙ্গে মাশরাফির পার্থক্য তুলে ধরে সাবেক এই ক্যারিবীয় পেসার বলেন, ‘মাশরাফি নিজের শতভাগ মাঠে দিতে চায়। তাই তরুণদের মাঠে নেমে তাঁদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পারফর্ম করতে হবে। ম্যাশের সঙ্গে অন্যদের পার্থক্য হলো, সে তাঁর পারফমেন্সকে সম্মান হিসেবে দেখে। তরুণদের তাঁর মতো লড়াইয়ের মানসিকতা থাকা জরুরি।’
তবে সবার মতো মাশরাফিকে পছন্দ করেন ওয়ালশও । এ ব্যাপারে তিনি, ‘ম্যাশ দারুণ একজন বোলার। সে অনেক অভিজ্ঞ। ইনজুরি না থাকলে সে হয়ত টেস্ট ক্রিকেটও খেলত। তাঁর মতো উঁচু মানের বোলার বাংলাদেশ দলে আর খুব কম আছে।’