মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাঘারপাড়া উপজেলার ফুল মিয়ার মেয়ে সুফিয়া বেগমের সঙ্গে শরিফুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি মেয়ে সন্তান হয়। মেয়ে জন্মের এক বছর পর পারিবারিক গোলযোগের কারণে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। সুফিয়া খাতুন মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান।
১৬ বছরের মেয়েটিকে গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি শরিফুল বাবার দাবি নিয়ে বেড়াতে নিয়ে যায়। এরপর মেয়েকে আর ফেরত দেয়নি শরিফুল। অনেক খোঁজ করেও মেয়ে ও শরিফুলকে কোথাও খুঁজে পাননি সুফিয়া। আট মাস পর মেয়েটিকে ফরিদপুরের একটি যৌনপল্লী থেকে উদ্ধার করা হয়।
মেয়েকে পাচারের অপরাধে যশোরে এক বাবার সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক অমিত কুমার দে এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত শরিফুল ইসলাম (৪৩) বাঘারপাড়ার মৃত মোঃ বাবুর ছেলে। শরিফুল ইসলাম যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক আছেন।
শরিফুল নিজের মেয়েকে গত বছরের ২২ মার্চ ওই যৌনপল্লীতে নিয়ে বিক্রি করে দেয়। এ বিষয়ে শরিফুলকে আসামি করে মেয়ের নানা ফুল মিয়া বাঘারপাড়া থানায় মানবপাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।