দেশইনফো ডেস্ক: ক্রিকেট এখন কেবল পুরুষের খেলা নয়। এ খেলায় যুক্ত হয়েছেন নারী খেলোয়াররাও। সারাবিশ্বে পুরুষ ক্রিকোরদের যে জয়জয়কার তা কেবল অটোগ্রাফেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং প্রত্যেকটা খেলোয়ারের ব্যাংক ব্যালেন্স দেখলে অনেকটা ভিমরি খেতে হবে।
এখন ক্রিকেটে মেয়েরাও পিছিয়ে নেই। তাদের জয়জয়কারও বিশ্বজোড়া। উদাহরণ হিসেবে যদি বলতেই হয়, তাহলে বলতে হবে ভারতের মিতালী রাজের কথা। সে হোক খ্যাতিতে কিংবা ব্যাংক ব্যালেন্সেই হোক। কারণ সম্প্রতি মিতালির বেতন ২২ হাজার পাঁচশ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ডলার করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
কিন্তু তারপরেও ভারতের পুরুষ ক্রিকেটারদের তুলনায় নারী ক্রিকেটারদের বেতনে আকাশ-পাতাল তফাত। এ পার্থক্য কমে আসাটা একটি স্বপ্নের মতো ব্যাপার। নারী ক্রিকেটারদের বেতন কম হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ মনে করা হচ্ছে, নারীদের ম্যাচে দর্শক কম হয় এবং স্পন্সরশীপ বাবদ কম অর্থ পাওয়া যায়।
অবশ্য ইংল্যান্ডের নারী ক্রিকেটারদের বেতন ভারতের নারী ক্রিকেটারদের চেয়ে কম। দেশটির নারীর ক্রিকেটাররা বিশ্বকাপও জিতেছে। কিন্তু তাতেও তাদের অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। ইংল্যান্ডের নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিদার নাইট মনে করেন, এ অবস্থার পরিবর্তন হতে সময় লাগবে। তিনি বলেন, পুরুষরা যখন প্রথম পেশাদারি ক্রিকেট শুরু করেছিল, সেখান থেকে আজকের অবস্থানে আসতে তাদের অনেক সময় লেগেছে।
ইংল্যান্ডে একজন পুরুষ ক্রিকেটার যে আয় করেন, নারী ক্রিকেটারদের আয় তার চেয়ে ৩৮ শতাংশ কম। দেশটির খেলার জগতে একমাত্র ক্রিকেটে খেলায় নারী এবং পুরুষের মাঝে বেতনের পার্থক্য অনেক বেশি।
এ তো গেলো বিশ্বে নারী ক্রিকেটারদের কথা। আর বাংলাদেশের কথা নাই বা বল্লাম। সে হিসেবটা না হয় আরেকদিন মিলিয়ে নেবো।