ভালোবাসা এমন একটা ব্যাপার যেখানে দুজন মানুষের মনের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ভালোবাসা আল্লাহ প্রদত্ত আমাদের জন্য একটি রহমত। নিজের পরিবার, নিজের কাছের মানুষদের প্রতি মন থেকে তৈরি ভালোবাসাগুলো আল্লাহর দেয়া নেয়ামত।
তবে কিছু মানুষ ভালোবাসার পবিত্র বিষয়টিকে নোংরা করে ফেলেছে। কলুষিত করে দিয়েছে সমাজকে। অনেক ক্ষেত্রেই নারী-পুরুষের ভালোবাসা এখন আর মনে আবদ্ধ থাকেনা। ভালোবাসার নামে যে নোংরামি আমাদের সমাজে দেখা যায় তার মধ্যেই একটুকরো সত্যিকারের ভালোবাসা দৃষ্টান্ত হচ্ছে ফেনীর ভারসাম্যহীন জুটি রোমিও-জুলিয়েট।
মানসিক ভারসাম্যহীন এই দম্পতির আসল নাম হয়তো কেউ জানে না, বা কারো জানার হয়তো দরকারও নেই। আর কবে কোথা থেকে এই দম্পতি এসেছে সে ব্যাপারেও কারো কাছে সঠিক কোনো তথ্য নেই। দীর্ঘদিন ধরে তারা ফেনীর রাস্তায় রাস্তায় দিন কাটাচ্ছে। দুজনকেই হয়তো বর্তমান সমাজের পাগল হিসেবেই আমরা চিনি, কিন্তু এই পাগলদের ভালোবাসায় আমাদের সুশীল সমাজের ভালোবাসাকে কোণঠাসা করে দিয়েছে। ভালোবাসার নামে নোংরামি যখন চরম পর্যায়ে তখন রোমিও-জুলিয়েট আমাদের আশার বাণী। তবে এদের দেখার কেউ নেই। কেউ এদের প্রতি কোনো সহানুভূতিও দেখায় নি।
মেয়েটাকে একটু বেশি মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হলো। মেয়েটার হাতে ও গালে কিছুটা ঘা আছে। কাপড় বেশ নোংরা ও ছিঁড়া। শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয়।
রোমিও-জুলিয়েটদের একা নয়, তাদের সন্তানও ছিলো। তাদের প্রথম সন্তানটাকে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। তবে দ্বিতীয় সন্তান হিসেবে একটা মেয়ে সন্তানও ছিল। নাম রাখা হয়েছিলো রাণী। তবে রাণীর মত আর তার থাকা হলো না কারণ গত সপ্তাহে রাণী ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
ফেনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল সিরাজুল ইসলাম ঐ বাচ্চাকে অসুস্থ দেখে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু পুষ্টিহীনতায় রাণীকে আর বাঁচানো গেলো না।