কিংসদের হারিয়ে নাইটদের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে নামবে রোহিত অ্যান্ড কোং৷ শুক্রবার হোলকার স্টেডিয়ামে কিংস ইলেভেনের বিরুদ্ধে ১৭৫ রান তাড়া করতে নেমে ছ’ উইকেট ম্যাচ জিতে নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স৷ মুম্বাইয়ের জয়ে বড় ভূমিকা নেয় পান্ডিয়া ভাইয়েরা৷ প্রথমে হার্দিকের ১৩ বলে ২৩ পরে কুণালের ১২ বলে অপরাজিত ৩১ রানের দুরন্ত ইনিংসে একাদশ আইপিএলে লড়াই টিকে থাকল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা৷ এর জয়ের ফলে এক লাফে আট থেকে পাঁচ নম্বরে উঠে এল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স৷
রান তাড়া করতে গিয়ে শুরুটা ভালো হয়নি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সেরও৷ মন্থর পিচে পাওয়ার প্লে-তে লুইসের উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৯ রান তোলে মুম্বাই৷ তার পর সুর্যকুমার যাদব দুরন্ত হাফ-সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ে ফেরে রোহিত অ্যান্ড কোং৷ কিন্তু হাফ-সেঞ্চুরির পর ডাগ-আউটে ফেরেন সূর্যকুমার৷ ৪২ বলে তিনটি ছয় ও হাফ-ডজন বাউন্ডারি-সহ ৫৭ রান করেন তিনি৷ এর ইশান কিষান (১৯ বলে ২৫) এবং হার্দিক পান্ডিয়া ১৩ বলে ২৩ রানের ইনিংসে রান ও বলের ব্যবধান কমায় মুম্বাই৷ এর পর ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা ও কুনাল পান্ডিয়া দলকে বাকিটা রাস্তা করানোর সংকল্প নেয়৷ রোহিত শান্ত থাকলেও কুণানের ১২ বলে ৩১ রানের ইনিংসে এক ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ পকেটে পুরে নেয় মুম্বই৷ দু’টি ছক্কা ও চারটি চার মারেন কুণাল৷ স্ট্রাইক-রেট ২৫৮.৩৩৷ ১৫ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন রোহিত৷
প্রথমে ব্যাটিং করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সামনে ১৭৫ রানে টার্গেট রাখল প্রীতির পাঞ্জাব৷ শেষ ওভারে মার্কাস স্টইনিসের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে বড় রান তুলল কিংস ইলেভেন৷ ইনিংসের শেষ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার বিরুদ্ধে দু’টি ছয় ও দু’টি চার হাঁকিয়ে ২২ রান তোলেন স্টইনিস৷
এদিন শুরুতে অবশ্য চেনা ছন্দে দেখা যায়নি কিংস ওপেনিং জুটিকে৷ ২০ বলে ২৪ রান করে ডাগ-আউটে ফেরেন লোকেশ রাহুল৷ শুরুতে শান্ত ছিলেন ক্যারিবিয়ান দৈত্য৷ পাওয়ার প্লে (প্রথম ৬ ওভার) মাত্র ৪৯ রান তোলে পাঞ্জাব৷ তার পরের ওভারেই আউট হন রাহুল৷ ‘গেইল ঝড়’ উঠলে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি৷ হাফ-সেঞ্চুরির পরই ডাগ-আউটে ফেরেন গেইল৷ ৪০ বলে দু’টি ছয় ও ছ’টি বাউন্ডারি-সহ ৫০ রান করেন বাঁ-হাতি ওপেনার৷
এর পর থেকে নিয়মিত উইকেট হারানোয় চাপে পড়ে যায় কিংস ব্যাটিং৷ চূড়ান্ত ব্যর্থ যুবরাজ সিং৷ এদিন মাত্র ১৪ রান করে রান-আউট হন বাঁ-হাতি৷ চলতি আইপিএলে যুবির সর্বোচ্চ স্কোর ২০৷ শেষ দিকে করুণ নায়ার ও স্টইনিসের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দেড়শোর গণ্ডি টপকায় পাঞ্জাব৷ শুধু তাই নয়, শেষ ওভার ২২ রান তুলে মুম্বাইকে কঠিন চ্যালেঞ্জ দেয় প্রীতির সৈন্যরা৷ ১৫ মাত্র ২টি ছয় ও ২টি চার-সহ ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন স্টইনিস৷ আর ১২ বলে ডাবল ছক্কায় ২৩ রান করেন নায়ার৷
এই জয়ের ফলে ৯ ম্যাচে তিনটিতে জয় পেল মুম্বাই৷ আগের ম্যাচে চিন্নাস্বামীতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে হেরে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল রোহিতদের৷ এদিন তাই জয় ছাড়াই কিছু ভাবেনি রোহিতবিগ্রেড৷ শেষ পর্যন্ত কিংসদের হারিয়ে লড়াইয়ে ফিরল মুম্বাই৷ কিংসদের হারিয়ে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে রবিবার ওয়াংখেড়েয় কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে নামবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স৷
