ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের মৃধার হাট সংলগ্ন কুদ্দুস মৌলভীর বাড়িতে পাষন্ড ছেলে রেজাউল তার মা বকুল বেগমকে (৫০) নির্মমভাবে জবাই করে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে বোন আমেনা বেগম বাদী হয়ে দৌলতখান থানায় তার ভাই রেজাউল ও ভাবি শাম্মি আক্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হরেছে। এদিকে মাকে হত্যার পর ছেলে নিজেও বুকে ছুড়ি দিয়ে আতœহত্যার চেষ্টাকারি রেজাউলকে পুলিশ গ্রেফতার করে হাসপাতালে পাহারা দিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, ঘাতক ছেলে রেজাউলের পিতা আবদুল কুদ্দুস মৌলভী বেঁচে নেই। তার ৪ বোন রয়েছে মা রয়েছে। রেজাউল সম্প্রতি বিদেশ থেকে দেশে আসে। তার স্ত্রী ও সন্তান থাকে বোরহানউদ্দিন উপজেলায়। রেজাউলের নিজের অংশের জমি সে বিক্রি করে দেয়। তার মায়ের জমি বিক্রি করার জন্য গত মাকে চাপ দিতে থাকে।
সর্বশেষ শুক্রবার সন্ধ্যায় মাগরিব নামাজ শেষ করে বকুল জায়নামাজে বসে দোয়া পড়ছিলেন। এ সময় একমাত্র ছেলে রেজাউল (২৮) তাকে ডেকে বলে, আমি এ ঘর বিক্রি করে ফেলেছি। তুমি ঘর ছেড়ে চলে যাও। এ সময় তার মায়ের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রেজাউল তার মায়ের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। পরে রেজাউল হাতে থাকা ছুরি তার নিজের বুকে ঢুকিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। রেজাউলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুলিশ প্রহরায় ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে।
দৌলতখান থানা ওসি এনায়েত হোসেন জানান, নিহত বকুলের ময়না তদন্তের জন্য লাশ ভোলা হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এছাড়া শনিবার সকালে ঘটনা স্থল বাসা টয়লেটের পিছন থেকে যে চাকু দিয়ে হত্যা করা হয় তা উদ্ধার করা হয়েছে। এ হত্যাকেন্ডের ঘটনায় নিহতের মেয়ে আমেনা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।