খুলনা প্রতিনিধি :খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দ্বায়িত্ব নেয়ার সময় ক্যাশ ভোল্টে আড়াই লক্ষ এবং ব্যাংক হিসাবে ৯৫ কোটি ৬২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮শত ৪৫ টাকা ৭৩ পয়সার লিখিত ডকুমেন্ট দেয়া হয় আমাকে।৭শতকোটি টাকার যে কথা প্রচার করা হচ্ছে সেটা সঠিক নয়।
নির্বাচনের মাঠে এক প্রার্থীর দেয়া বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনে দেয়া লিখিত বক্তব্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো ঃ মনিরুজ্জামান মনি একথা বলেন। আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান
নির্বাচনী প্রচারণাকালে সম্প্রতি কেসিসি’র সাবেক মেয়র জনাব তালুকদার আব্দুল খালেক তার দায়িত্ব পালনের শেষ দিনে ৭’শ কোটি টাকা রেখে গেছেন বলে প্রচার করছেন। কথাটি সত্য নয়। জনাব তালুকদার আব্দুল খালেক ২০১৩ সালের মে মাসের ৯ তারিখে মেয়র পদ হতে পদত্যাগ করেন।
১৩ সালের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন। তবে পরিষদের কাউন্সিলরগণ একই বছর সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখ পর্যন্ত দায়িত্বে বহাল ছিলেন। ঐ সময়ে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৮নং ওয়ার্ডের পরাজিত কাউন্সিলর জনাব আজমল আহমেদ তপন মেয়রস প্যানেলের এক নম্বর সদস্য থাকায় আইনগত কারণেই দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ১৩ সালের সেপ্টেম্বরের ২৫ তারিখে নির্বাচিত মেয়র হিসেবে আমি বিজয়ী সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরবৃন্দদের সাথে নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করি।
দায়িত্ব হস্তান্তরের স্বাক্ষরিত কাগজে সিটি কর্পোরেশনের ক্যাশভোল্টে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং ব্যাংক বিবরণী অনুযায়ী ৯৫ কোটি ৬২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮’শ ৪৫ টাকা ৭৩ পয়সা স্থিতির উল্লেখ ছিল। এ সম্পর্কিত সেই দিনকার দায়িত্ব অর্পণ ও গ্রহণকারী সভায় উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষ।
উপরোক্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রণিত দাপ্তরিক নথি আপনাদের জ্ঞাতার্থে প্রেরণ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে মহানগরী উন্নয়নের পরিকল্পনাগুলি টেকসই হতে হবে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে খুলনা মহানগরীকে মানুষের বসবাসের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাবে। আমরা আশা করবো জন প্রতিনিধিগণ এ সকল বিষয়গুলি বিবেচনায় নিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন।
নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীদের নিকট থেকে নগরবাসী সত্য ভাষণ ও কমিটমেন্ট আশা করে। আমরা আশা করবো নগরবাসী তথা ভোটারদের কাছে অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা থেকে সকলে বিরত থাকবেন।