ইসাহাক আলী, নাটোর : শিক্ষার কোন বয়স নেই। তারই প্রমান করলো নাটোরের গুরুদাসপুরের মাা ও ছেলে। আর ফলাফলে ছেলের চেয়ে তুলনামূলক ভাল ফলাফল করেছেন মা তাহমিনা বিনতে হক (৩৫)।
পেশায় তিনি একজন গৃহিনী। এক ছেলে এক মেয়ে ও স্বামী নিয়ে তার ছোট্ট সংসার। তিনটি গরু ও হাঁস-মুরগী প্রতিপালন করেন তিনি। গরুর জন্য পুষ্টিকর ঘাসের চাষও করেন তাহমিনা । তার একটি গাভী প্রতিদিন প্রায় আট লিটার দুধ দেয়। এছাড়া ৬০টি লিচুগাছ ও ১২০টি আমগাছের বাগান দেখাশোনা করা তার নিত্যনৈমিত্তিক কাজ।
এরই ফাঁকে একমাত্র ছেলে তাওহীদুল ইসলামকে (১৬) লেখাপড়ার সময় দিতে গিয়ে তিনি নিজেও একটি স্কুলে ভর্তি হন। তারা মা-ছেলে প্রতিদিন গড়ে ৪ ঘন্টা পড়াশুনা করেছেন। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার আনন্দনগর গ্রামে তাদের বাড়ি।
স্বামী আলমগীর হোসেন রঞ্জু চাঁচকৈড় বাজারের একজন ওষুধ ব্যবসায়ী। এত ব্যস্ততার মাঝেও সংসারের যাবতীয় ঝামেলা মিটিয়ে স্ত্রীর এই কৃতকার্যে তিনি খুব খুশি। আনন্দনগর গ্রামের ওই পরিবারসহ পুরো আনন্দনগর গ্রামে এখন আনন্দের ছড়াছড়ি। অনেকেই রঞ্জুর স্ত্রী-সন্তানকে একনজর দেখার জন্য তাদের বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছেন। করাচ্ছেন মিষ্টিমুখও।
গৃহিনী তাহমিনার বাপের বাড়ি পাবনার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর গ্রামে। সেখান থেকে তিনি জোনাইল আইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ৪ দশমিক ২৩ পেয়েছেন। পাশাপাশি ছেলে তাওহীদুল ইসলাম জোনাইল এলাকার দ্বারিকুশি প্রতাপপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষা দিয়ে পেয়েছে জিপিএ ৪ দশমিক ৬ ।
মা তাহমিনাার ও ছেলে তাওহীদ আগামীতে পড়াশোনা করে আরো ভালো রেজাল্টের প্রত্যাশী।