আরিফা রহমান রুমা: শহীদ মহিউদ্দিন হায়দার একাত্তরে রংপুর বেতারের অনুষ্ঠান সংগঠক ছিলেন।মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বেতারে বোমা মেরে উড়ানোর পরিকল্পনার মিথ্যে অভিযোগ এনে তাঁকে পাকবাহিনী ধরে নিয়ে নির্মম অত্যাচার করে মেরে ফেলে।
আর হ্যাঁ একাজে পাকিদের সহায়তা করে তাঁরই বাঙালি সহকর্মী তৎকালীন রংপুর বেতারের সহকারী পরিচালক একরামুল হক। তবে হায়দার সাহেবের মূল অপরাধ ছিল বেতারের ঘোষিকাদের পাকিস্তানী হানাদারদের হাতে তুলে দেবার পুরো প্রক্রিয়া আটকে দেয়া।
উনার স্ত্রী তাঁর ছোট্ট দুই পুত্র সন্তান নিয়ে স্বামীকে ফিরে পেতে ঘুরে বেড়িয়েছেন এ দ্বার থেকে ও দ্বার, না, লাশটাও পাননি তিনি।দেশ স্বাধীন হলে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ সহায়তায় একটি সরকারী চাকরি আর আমৃত্যু মাথা গোঁজার ঠাঁই হলো তাঁর। যেটা ক’মাস আগে কিছু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারনে হারাতে বসেছিলেন।
আর তা জেনে সঙ্গে সঙ্গেই সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড়ের পাশাপাশি সাংবাদিক বন্ধুদের সহায়তায় কয়েকটি টেলিভিশন রিপোর্ট করে। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী মোজাম্মেল আন্তরিকতা আর দিক নির্দেশনায় আস্তে আস্তে সমস্যার জট খুলতে শুরু করে।
সকলের সার্বক্ষণিক নজরদারিতে অবশেষে সব জটিলতা কাটিয়ে তাঁর নতুন বাসায় উঠেছেন শহীদ মহিউদ্দিন হায়দারের পরিবার। সামান্য পাশে দাঁড়ানোতেই বারবার করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছিলেন অথচ তাঁর সামনে কৃতজ্ঞচিত্তে মাথাটা নীচু করে আমাদেরই দাঁড়িয়ে থাকবার কথা।