আমাদের বাজেট সাতগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগে আমাদের বাজেটের জন্য বিদেশিদের কাছে হাতপাততে হতো। আর আল্লার রহমতে আমরা এখন কারো সাহায্যের অপেক্ষায় হাত পেতে বসে থাকি না। বাজেটের ৯০ ভাগ নিজস্ব অর্থায়নে আমরা করে থাকি।
তিনি বলেন, আগে আমাদের উন্নয়ন বাজেট ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা ছিল। এখন এক লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। প্রবৃদ্ধির সাত দশমিক ৮৬ ভাগে উন্নীত করার পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি মাত্র পাঁচ দশমিক চার ভাগে নামিয়ে এনেছি। আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় এক হাজার ৭৫১ মার্কিন ডলার ।
শনিবার বিকালে গণভবনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লায়ন্স ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এলজিইডির মাধ্যমে সারাদেশে ৪ লাখ ৩৪ হাজার সড়ক করেছি। আর সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের মাধ্যমে নির্মাণ করেছি ১ লাখ ২২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা।
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিল। পরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সার্টিফাই করেছে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ ভুয়া, মিথ্যা।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনে মনোনিবেশ করি। কিন্তু ২০০৮ সালে ফের ক্ষমতায় এসে দেখলাম বিদ্যুৎ উৎপাদন যেখানে রেখে গিয়েছিলাম সেখান থেকে কমে গেছে। আমি বুঝলাম না কিভাবে সেটি কমে। আমরা ফের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করলাম। যার ফলে বর্তমানে ৯৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতায়। ২০২১ সালে দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে জাতি দেশের জন্য জীবন দিতে পারে তাঁরা কখনো পিছিয়ে থাকতে পারে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যাবে। আজকে সব দিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে।
বর্তমান সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন খাতের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, আমাদের দেশকে আমরা সর্বক্ষেত্রে উন্নত করতে চাই, স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে চাই। দেশের মানুষ যাতে আরও উন্নত জীবন পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁরা শুধু লুটপাট করতে জানে। তাঁরা জানে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করতে, মানুষ মারতে। এদের হাতে রক্ত লেগে আছে।
দেশ গঠনের সবাইকে একযোগ কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্বে সম্মান পাচ্ছে, স্বীকৃতি পাচ্ছে। আগে আমরা বাঙালিরা বিদেশে গেলে সবাই বলত-ও বাংলাদেশ! ঘূর্ণিঝড়, দুর্ভিক্ষ… ইত্যাদি। এখন আর সে কথা কেউ বলে না। বিদেশে গেলে নিশ্চয়ই উপলব্ধি করতে পারেন। আমরা চাই সকলে এক সঙ্গে কাজ করে এই বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব।