ব্র্যাডের ওপর কোনো অভিযোগ নেই অ্যাঞ্জেলিনার

0
6

স্বামী ব্র্যাড পিটের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। তার দাবি, ঘরে ফিরে ব্র্যাড পিট তাকে নিয়মিত নির্যাতন করতেন। শুধু তাই নয়, এর বিচার চেয়ে আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিনেত্রী।

২০১৯ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদের পর পরস্পরের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে চলে মামলা-মোকদ্দমা। মূলত পারিবারিক কলহ ও মানহানির বিষয় তুলেই আইনি লড়াইয়ের মাঝে পড়ে যায় এই জুটি। এ নিয়ে সংবাদের শিরোনামও কম হয়নি। অবশেষে সব অভিযোগ গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জোলি।

গণমাধ্যম পিপলের খবর অনুযায়ী, ২০২২ সালে এফবিআই এর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন জোলি। সেখানে জোলি ছদ্মনামে অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালের ঘটনা নিয়ে পিটের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলার সঠিক তদন্ত হয়নি। এরপর গত বুধবার আদালতকে সেই অভিযোগ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জোলি।

সে সময় এফবিআইয়ের কাছে জোলির অভিযোগ ছিল, ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রাইভেট জেটে করে সন্তানদের নিয়ে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছিলেন দুই তারকা। এই সময়ে জোলি এবং পিটের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জোলিকে ঘাড় ধাক্কা দেন পিট, সেই সঙ্গে তার মাথা ধরে ঝাঁকান। এমনকি এক পর্দায়ে সন্তানদের সঙ্গেও খারাব ব্যবহার করেন ব্র্যাড পিট। এক সন্তানের গলা চেপে ধরেন, অন্যজনের মুখ চেপে ধরেন। এছাড়া জোলি ও সন্তানদের গায়ে মদ ছুড়ে মারেন ব্র্যাড পিট।

জোলির অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করে এফবিআই ও লস অ্যাঞ্জেলেস কান্ট্রি ডিপার্টমেন্ট অব চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলি সার্ভিসেস। একই বছরের নভেম্বরে এফবিআইয়ের এক মুখপাত্র জানান, এ ঘটনায় পিটের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাননি তারা, ফলে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হচ্ছে না। এরপর ২০২২ সালে এ তদন্তের নথি খতিয়ে দেখার দাবি তোলেন জোলি।

দীর্ঘ ১০ বছর প্রেমের পর ২০১৪ সালে বিয়ে করেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও ব্র্যাড পিট। অভিনয় করতে গিয়েই তারা প্রেমে পড়েন হলিউডের এই দুই জনপ্রিয় তারকা। বিয়ের মাত্র দুই বছর পর বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা।

ব্র্যাড পিট ও আঞ্জেলিনা জোলি কাছাকাছি আসেন ২০০৫ সালে ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ সিনেমায়। মিডিয়ায় এ জুটি পরিচিতি পেয়েছিল ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’ নামেও। পরস্পরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে ২০১৭ সালে আলাদা থাকতে শুরু করেন তারা। ২০১৯ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here