সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পরিচালনায় যত টাকা লাগে বাংলাদেশ ব্যাংককে দিতে হবে। আমরা ব্যবসা করে পরে ফেরত দেব। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ডা. মো. জাহাঙ্গীর এ কথা বলেছেন। পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণে সরকারি উদ্যোগের বিরোধিতা করে সাবেক কয়েকজন পরিচালক জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ডা. মেজর (অব.) এম রেজাউল হক বলেন, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এই ব্যাংক দখল করা হয়েছিল। এখন আবার সরকারি খাতে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের অপরাধ কি। কোনোভাবেই আমাদের ব্যাংক নেওয়া যাবে না। আমরা আদালতে রিট করেছি, সেই রিটের নিস্পত্তি করে আসতে হবে। অন্যদের হাতে দেওয়া যাবে না।
ব্যাংকটির উদ্যোক্তা চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীরা ব্যাংক চালাতে না পারলে, অন্যরা পারবে কীভাবে। আমরাই এই ব্যাংক চালাব। এটা আমাদের সম্পদ। সরকার কি একজনের বাড়ি, ঘর নিয়ে নিতে পারে?’
সাবেক পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে আমরা এই ব্যাংক করেছি। প্রবাস থেকে দেশে অর্থ এনে এটা প্রতিষ্ঠা করেছি। এখন সরকারিকরণ করা হবে কেন?’
উল্লেখ্য, শরীয়াহভিত্তিক পরিচালিত দুর্দশাগ্রস্ত স্যোশ্যাল ইসলামী, এক্সিম, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে একটি বড় ইসলামী ব্যাংক করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একীভূতকরণ উদ্যোগে এরই মধ্যে সায় দিয়েছে সরকার। এজন্য প্রাথমিকভাবে দরকার হবে ৩৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা। যার মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২০ হাজার ২০০ কোটি টাকা। আর ৭ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়া হবে আমানত বীমা ট্রাস্ট তহবিল থেকে। বাকি ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের শেয়ার দেওয়া হবে।
 
		