ইমরুল কায়েস জনি: বৃটিশ আর নাপাকিদের বুটের তলায় পিষ্ট এ জাতি ‘স্বাধীনতা’র মানে কি বুঝবে? আজ আমি রাজাকারের পক্ষে বলবো…
জেগে উঠো রাজাকার, তোমাদের ধর্ষণই ছিলো সুখকর। তোমাদের বাবা নাপাকিদের বুটের তলা ছিলো আরামদায়ক। সদ্য প্রসূতী নারীর গুপ্তাঙ্গে বন্দুকের নল ঢুকিয়ে গুলি করে হত্যা করার দৃশ্য ছিলো নয়নাভিরাম। বাঙালীদের ঘরে ঘরে আক্রমন করে খুন-লুটপাটের ঘটনা ছিল অসীম সওয়াবের।
আজ আওয়ামী লীগের সিল গায়ে লাগিয়ে কিছু সুযোগ-সন্ধানীর অত্যাচার তোমাদের কাছে পরাধীনতা। গতকাল বিএনপি জামাতের সাইনবোর্ড ব্যবহার করা কিছু কুকুরের জুলুম-অত্যাচার তোমাদের কাছে পরাধীনতা। গত পরশু এরশাদের পালিত কুত্তার তান্ডব তোমাদের কাছে পরাধীনতা। তবে তোমরা স্বাধীন ছিলে কখন! বৃটিশ আর নাপাকী আমলে? তোমাদের মুখে যখন শুনি ”আমরা কি স্বাধীন?” তখন এক দলা থুথু নিক্ষেপ করতে ইচ্ছা করে।
দেখে আসো একবার তোমাদের বাবার দেশ নাপাকিস্তান, ওরা কত স্বাধীন। দেখে এসো আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়া, উগান্ডা, সোমালিয়া, ইথিউপিয়া বা সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়া, আফগান, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন। এরপর বুঝবে আসলে তোমরা কি স্বাধীন!!
তোমরা বড়ই অকৃতজ্ঞ জাতি! তোমরা স্বাধীনতার মানেই বুঝ না। বুঝনা মশারীর ভিতরও মশা ঢুকে রক্ত খেয়ে যায়। তোমরা তোমাদের উত্তরসূরীদের মতই নির্লজ্জ বেঈমান। তোমরা যদি এদেশে নিজেকে পরাধীন মনে কর, তবে যেখানে তোমাদের ভাল লাগে সেখানে চলে যাও।
এদেশের আলো বাতাস আর অক্সিজেন নিয়ে তোমাদের সন্তান সুখের নিদ্রা যাবে, আর সকালে ঘুম থেকে জেগে মশারীর ভিতর থেকে বের হয়ে আফসোস করে বলবে, ‘হায় আমি কত পরাধীন!’ তোমাদের প্রতি আমাদের ঘৃণা ছাড়া আর কিইবা দেবার আছে? যেসব বাঙালী পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতি দেখায়, আমি নির্ধিদায় বলতে পারবো- ওদের জন্মে কোন না কোন ভাবে পাকিস্তানী সেনাদের অবদান রয়েছে।
পরিশেষে আমি কৃতজ্ঞের মত বলবো…আমি এক দুর্নীতিগ্রস্থ দেশে বাস করি। আমার দেশের পুলিশ, আমলারা ঘুষ খায়। আমার দেশের আদালত ন্যায়বিচার করেনা। আমার দেশের ডাঃ কষাইয়ের ভূমিকা পালন করে। আমার দেশের টুপি, পান্জাবী আর দাড়ীওয়ালা মানুষ সুদের ব্যবসা করে ইত্যাদি, ইত্যাদি। তবুও এটা আমার দেশ, এটাই আমার মাতৃভূমি। মা…আমি তোমায় ভালবাসি।
”এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না কো তুমি,
সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি।”