কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বীরঙ্গনা চিনু রানী চক্রবর্তী, বীরঙ্গনা ননী বালা দে কে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতিদান ও যুদ্ধাপরাধীর সন্তান মহেশখালীর পৌর মেয়র মকছুদ মিয়াসহ আওয়ামী লীগ ও যুব লীগে অনুপ্রবেশকারীদের উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ হতে বহিস্কারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহেশখালী উপজেলা কমান্ড।
সোমবার (৯ জুলাই ) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মহেশখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমজাদ হোসেন বলেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল হাসেম সিকদার, তার ভাই মৌলভী মোহাম্মদ জাকারিয়া, তার আত্মীয় মৌলভী অলি আহমদ ও পাকিস্তানি বাহিনী ৬ মে মহেশখালীতে অগণিত হত্যাযজ্ঞ ও ধর্ষণ চালায়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনজন স্বীকৃত বীরাঙ্গনা এখনো রয়েছেন। কিন্তু হাসেম সিকদারের ছেলে পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া ক্ষমতাধর আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় এই বীরাঙ্গনারা হাজার চেষ্টা করেও আজ পর্যন্ত বীরঙ্গনা স্বীকৃতি পায় নাই, তাদেরকে বীরঙ্গনা স্বীকৃতির দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, মোহাম্মদ হাশেম শিকদারের ভাই মৌলবি মোহাম্মদ জাকারিয়া ও মৌলভী অলি আহমদ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটভুক্ত আসামি হওয়ায় দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং পৌর মেয়রের দায়িত্ব থেকে তাকে অপসারণ করাতে হবে । তা না হলে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মহেশখালীর মুক্তিযোদ্ধা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষীদের নিরাপত্তা সুরক্ষা, শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন এবং নির্যাতিত নারী ও বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দান সহ উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী যুদ্ধাপরাধীর সন্তান ও রাজাকারদের বহিষ্কার করা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল সুরক্ষা কমিটির সদস্য ও সাক্ষী বাবু রবীন্দ্র লাল দে, বীরঙ্গনা চিনু রানী চক্রবর্তী, বীরঙ্গনা ননী বালা দে প্রমূখ।