সাধারণত মুসলিমদের বিয়ের ক্ষেত্রে বৌভাত বিয়ের এক থেকে দুই দিন পরেই হয়ে থাকে। তবে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বিয়ের ১৪ বছর পর বৌভাতের আয়োজন করা হয়। যেখানে অতিথিরা আসলেন খাওয়া-দাওয়া করলেন এবং বিদায়ও নিলেন।
বিয়েতে যারা এসেছিলেন তারা সবাই উপহার পেলেন একই রকমের নতুন পোশাক। আয়োজকরা জানালেন, ২০০৪ সালের ৫ নভেম্বর উপজেলার দয়ারামপুর কাজীপাড়ার মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে মাদ্রাসাশিক্ষক কাজী আমানুর রহমানের সঙ্গে একই উপজেলার চকতকিনগর গ্রামের জাহেদ আলীর মেয়ে তাছলিমা খাতুনের বিয়ে হয়।
রমজান মাসে বিয়ে হওয়ার কারণে সে সময় বৌভাতের আয়োজন করা হয়নি। এ নিয়ে মনোকষ্টে ছিলেন স্বামী আমানুর ও স্ত্রী তাছলিমা। তারা স্থির করেছিলেন বৌভাতের আয়োজন একদিন হবেই। কিন্তু তা হচ্ছিল না। একে একে তিনটি সন্তানের বাবা-মা হন সেই দম্পতি। বড় মেয়ে আমিনা (১০) পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। ছোট দুই ছেলে আলিফ (৫) ও ২০ দিনের নবজাতক আলভী।
অবশেষে সেই ইচ্ছার বাস্তবায়ন হয় ১৪ বছর পর। বর কাজী আমানুর পেশায় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। সে সময়ে তার সঙ্গে বরযাত্রী হয়ে এসেছিলেন তার মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীসহ ২৪ জন। bou-vat তাদের বৌভাত অনুষ্ঠানে যাদেরকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাদের উপহার দেয়া হয় একই রঙের পাঞ্জাবি-পায়জামা। সঙ্গে সাদা টুপি।
এতে উচ্ছ্বসিত হন বরযাত্রীরা। তারা বলেন, এমন ঘটনা এর আগে কখনও দেখেননি। কাজী আমানুর রহমান বলেন, নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানকে ঘিরে ছিল অনেক বড় আশা। কিন্তু সে সময় অনুষ্ঠান করা যায়নি। তাই ভেতরে ইচ্ছে থেকেই যায়। অবশেষে সেই ইচ্ছা পূরণ করতে পেরে ভালো লাগছে।