প্রবীনদের পরিবারে থাকাটা তার নৈতিক অধিকার- রাশেদ খান মেনন

0
247


নিজস্ব প্রতিবেদক: সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, পরিবারই হচ্ছে প্রবীনদের আসল ঠিকানা।একজন সক্ষম মানুষ তার জীবনের পুরোটা শেষ করে দেয় যে পরিবারের জন্য জীবনের শেষ সময়ে সেই পরিবারে থাকাটা তার নৈতিক অধিকার।

সোমবার রাজধানীর আগারগাওয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরে “আন্তর্জাতিক প্রবীন দিবস-২০১৮” উপলক্ষে পুরস্কার বিতরণ,সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, বাবা-মা প্রবীন হয়ে গেলে সন্তানেরা তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে।কিন্তু বৃদ্ধাশ্রমে বাবা মা’য়ের মনের যে লুকানো আকুতি তা সন্তানেরা দেখতে পায়না।এটা ভেবে দেখে না যে সেই সন্তানেরাও একদিন প্রবীন হবে,একদিন তাদের সন্তানও এই একই আচরণ তাদের সাথেও করতে পারে।কাজেই সন্তানের জীবদ্দশায় কোন বাবা মা’কেই যেন বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে না হয়,পরিবারই যেন হয় প্রতিটি প্রবীনের নিজ আবাস এটাই আমাদের সকলের প্রত্যাশা।

প্রবীন ব্যক্তিদের অভীজ্ঞতা দেশের উন্নয়নে কাজে লাগতে পারে উল্লেখ করে সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, আজকের প্রবীন দীর্ঘ সময়ের অভীজ্ঞতার আলোকে একজন আলোকিত মানুষ।তার অভীজ্ঞতাকে আমাদের উন্নয়নে কাজে লাগানো যায় কিনা এনিয়ে আমাদের ভাবনা রয়েছে।বর্তমান সরকার প্রবীন জনগোষ্ঠীর প্রতি বরাবরই আন্তরিক।১৯৯৭ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রবীনদের নামে প্রথমবারের মত ১০০ টাকা করে মাসিক সম্মানী ভাতা চালু করেছিল যা এখন ৫০০ টাকা করে প্রায় ৪০ লক্ষ
প্রবীন ব্যক্তিকে সম্মানী ভাতা দেয়া হচ্ছে।এই টাকায় তার সংসার হয়তো চলবে না কিন্তু তাকে তার পরিবারের কাছে মর্যাদাশীল অবশ্যই করবে।’

সরকারি চাকুরিতে অবসরের বয়স বৃদ্ধির দাবীর প্রেক্ষিতে মেনন বলেন, সরকারি চাকুরিতে অবসরের বয়স যেমন বৃদ্ধি করে ৬৫ বছর করা উচিৎ ঠিক তেমনি প্রবেশের বয়সও ৩৫ বছর করা উচিৎ হবে।

অনুষ্ঠানে আপন নিবাসের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়াদা সেলিনা সেলিমকে আপন নিবাস নামে প্রবীন সহায়ক প্রতিষ্ঠান করার জন্য, ৯৩ বছর বয়সী বৃদ্ধ মায়ের সেবা করার জন্য ইভান আহমেদ কথা নামের এক হিজড়া ব্যক্তিকে ও বৃদ্ধ শশুর শাশুড়িকে উত্তম সেবা
করার জন্য শামসুন্নাহার সুমার হাতে সম্মাননা পদক তুলে দেয়া হয়।

সমাজকল্যাণ সচিব জিল্লার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।সুচনা বক্তব্য রাখেন আবু মোহাম্মদ ইউছুফ (অতিরিক্ত সচিব),মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন প্রফেসর ড. এ এস এম আতিকুর রহমান,সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সমাজসেবা অধদপ্তরের মহা পরিচালক গাজী মোহাম্মদ নুরুল কবীর।

উল্লেখ্য, মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে আগারগাঁওয়ের প্রবীন হিতৈষী নিবাস থেকে শুরু করে সমাজসেবা অধিদপ্তর পর্যন্ত সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক গাজী মোহাম্মদ নুরুল কবীরের নেতৃত্বে একটি র‍্যালী বের করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here