বগুড়া ব্যুরো : ২৮ সেপ্টেম্বর সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনকে আওয়ামী যুবলীগের প্রস্তাবে ‘জনগণের ক্ষমতায়ন দিবস’ হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বীকৃতি প্রদান করায় বগুড়ায় আনন্দ মিছিল করেছে জেলা যুবলীগ। মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় শহরের সাতমাথাস্থ্য দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধানসড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবলীগ সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় সদস্য ও বগুড়া জেলা সভাপতি আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি এবং সরকার প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা। কারণ তিনি সৎ, কর্মঠ সরকার প্রধান, বিশ্ব মানবতার নেতা, মাদার অব হিউম্যানিটি। নির্যাতিত, রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ৭১ সালে ভারতের নেত্রী ইন্দিরা গান্ধী নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্ব নন্দিত হয়েছিলেন। তেমনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সাহসী ও ঐতিহাসিক অবস্থান নেয়ায় তিনি বিশ্বে মানবতার নেতা, মানবতার জননী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতিবীদের সীমানা ছাড়িয়ে একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি শুধু একজন রাজনীতিবীদই নন, তিনি একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক। কারণ একজন রাজনীতিবীদ চিন্তা করেন পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে, আর একজন রাষ্ট্রনায়ক চিন্তা করেন পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দর্শন ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ যা জাতিসংঘে ১৯৩টি রাষ্ট্র সর্বসম্মতভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিশ্বের সকল দেশ স্বীকার করেছেন উন্নয়ন করতে হলে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের ক্ষমতায়ন সারাবিশ্বের শান্তিকামি মানুষের অর্জন। এটি যুবলীগের গবেষক দলের দীর্ঘদিনের গবেষণা কর্ম-যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ভাবনা, চিন্তা-চেতনার ফসল।
‘জনগণের ক্ষমতায়’ বাস্তবায়নে কাজ করছে যুবলীগ। শেখ হাসিনার দুরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের কারনে বাংলাদেশ আজ সমগ্র বিশ্বে সমাদৃত। তিনি জনগণকে উপলব্ধি করেছেন, জনগণের ভাষা বুঝেন। জনগনের ভোটের অধিকার ভাতের অধিকার ও কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশকে শান্তিময় করতে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা তাই করেছেন। বিভিন্ন সরকারের আমলে দেশে মঙ্গা ছিল। আর রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সময়ে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন আর চাল আমদানি করতে হয় না, বিদেশে খাদ্য রপ্তানী করছে সরকার। সকল ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়েছে দেশ।
শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকান্ডকে ত্বরান্বিত করে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে দক্ষ ও আলোকিত যুবসমাজের কোনো বিকল্প নাই।তিনি আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কার বিজয় নিশ্চিত করতে যুবলীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলুর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন এড. মকবুল হোসেন মুকুল, এড. জাকির হোসেন নবাব, কামরুন্নাহার পুতুল, সাগর কুমার রায়, আনোয়ার পারভেজ রুবন, আলহাজ শেখ, আনোয়ার হোসেন মুকুল, আব্দুর রাশেদ শিবলু, মাহফুজুল আলম জয়, সহিদুল ইসলাম দুলু, উদয় কুমার বর্মন, ইফতারুল ইসলাম মামুন, মোস্তাফিজুর রহমান ভুট্টো, শাহজাহান আলী, খালেকুজ্জামান রাজা, নাছিরুজ্জামান টিটো, মাইসুল তোফায়েল কোয়েল, মিথুন এমরান মিথুন, সিদ্দিকুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক দুদু, সাজেদুর রহমান সিজু, বাপ্পি কুমার চৌধুরী, সংগ্রাম কুমার দাস, লতিফুল করিম, জুয়েল জায়দার, কামরুল হুদা উজ্জল, মতিন আলী প্রাং, মোশারফ হোসেন বুলবুল, মোস্তাকিম রহমান, আব্দুল মজিদ, জাকারিয়া আদিল, আজমিরে খোদা নোমান, মোস্তফা কামাল নজরুল, এনামূল জাহিদ তিতাস প্রমুখ।