সচিবালয় প্রতিবেদক:ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব শনাক্ত এবং এ বিষয়ে জনগণকে সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য দিতে ৯ সদস্যের একটি মনিটরিং সেল গঠন করেছে সরকার।
তথ্য অধিদপ্তরের (পিআইডি) কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত এই সেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব শনাক্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে সরকারের বক্তব্য গণমাধ্যমকে জানাবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘গুজব শনাক্তকরণ সেল’এর কার্যক্রম নির্ধারণ ও সহযোগিতার কার্যকর বিষয়ক সভা শেষে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, চলতি মাসেই তথ্য মন্ত্রণালয় কর্মকাণ্ড শুরু করবে। এ সেলের কাজ হচ্ছে কোনটি গুজব সেটা শনাক্ত করে মিডিয়াকে অভিহিত করা যে, এটি গুজব। এটাতে আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গুজব কোনটাকে আমরা ধরছি, গুজব হচ্ছে- এমন মিথ্যা বা অসত্য বা বানোয়াট তথ্য বা অতিরঞ্জন যেটির কারণে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি ক্ষুণ্ন হয়, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত এবং রাষ্ট্র বিব্রতকার অবস্থায় পড়ে যায়। এবং যেটি যেকোনো একটি অন্দোলনকে ভিন্ন পথে প্রবাহিত করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, এ কাজগুলো করার জন্য ইতোমধ্যে তথ্য অধিদপ্তরের সিনিয়ার তথ্য অফিসারকে (রিফাত জাফরীন) প্রধান করে একটি ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটির অধীনে কাজ করবে আর কিছু কর্মকর্তা। এ সেলটিকে কার্যকর করার জন্য প্রথমে নির্ধারণ করা হবে এ মহূর্তে অনলাইনে কোন গুজবগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে সেটা নির্ধারণ করা। এগুলো আসলে গুজব কিনা সেটা নির্ধারণে আইন- শৃঙ্খলাবাহিনীর লোকজন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে গিয়ে নিশ্চিত করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরবর্তীতে গুজবগুলোর তালিকা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালেয়র মাধ্যমে কনটেন ব্লক বা ফিল্টার করার জন্য বিটিআরসির কাছে পাঠানো হবে। গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা এটি দৈনিক বা সাপ্তাহিকভাবে করতে পারি। এ জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিদের এক সঙ্গে কাজ করবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়ানো বিতর্কিত তথ্যকে নিউজের সোর্স হিসেবে ব্যবহার না করার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।