চীনের পর এবার ভিয়েতনামে আঘাত হেনেছে সুপার টাইফুন ইয়াগি। শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভবনের ছাদ উড়ে গেছে, বিভিন্ন স্থানে নৌকা ডুবে গেছে এবং ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। রোববার ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভিয়েতনামে আঘাত হানার আগে চীন এবং ফিলিপাইনে তাণ্ডব চালিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। খবর এএফপির। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলীয় হোয়া বিনহ প্রদেশে ভূমিধসের ঘটনায় একই পরিবারের চার সদস্য নিহত হয়
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ভিএনইএক্সপ্রেস জানায়, ইয়াগির প্রভাবে কয়েক ঘণ্টা টানা বৃষ্টিপাতের পর মধ্যরাতের দিকে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় একটি বাড়ি ধসে পড়েছে। দুর্ঘটনা থেকে ৫১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন। তবে তার স্ত্রী, মেয়ে এবং দুই নাতি নিহত হয়েছে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে চীনের হাইনানে ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া নিয়ে আঘাত হেনেছে টাইফুন ইয়াগি। এতে অন্তত দুজন নিহত এবং আরও ৯২ জন আহত হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, ইয়াগির প্রভাবে ঘন্টায় ২৩০ কিলোমিটারের (১৪৩ মাইল) বেশি বেগে ঝোড়ো বাতাস বয়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়েছে এবং দ্বীপটির সাড়ে চার লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
জনপ্রিয় পর্যটন শহর হাইনানে স্থানীয় সময় শুক্রবার আঘাত হানে টাইফুন ইয়াগি। সিসিটিভি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর তিনটা পর্যন্ত হাইকুতে অবস্থিত হাইনান দ্বীপের প্রধান বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়। অপরদিকে শনিবার ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়েছে ইয়াগি। বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়েছে এবং ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪৯ কিলোমিটার (৯২ মাইল)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তুয়ান চাউ দ্বীপের হাই আউ বোট লকে কমপক্ষে ২৩টি নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ডুবে গেছে। ভিয়েতনামে আঘাত হানার আগে চীন এবং ফিলিপাইনে টাইফুন ইয়াগির আঘাতে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়।