বিসমিল্লাহ গ্রুপের ৯ জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড

0
466

দণ্ডিত অপর আসামিরা হলেন বিসমিল্লাহ গ্রুপের পরিচালক ও খাজা সোলেমানের বাবা সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবর আজিজ মুতাক্কি, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবুল হোসেন চৌধুরী, ব্যবস্থাপক রিয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, নেটওয়ার্ক ফ্রেইট সিস্টেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন এবং জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা মোস্তাক আহমদ খান এবং এস এম শোয়েব-উল-কবীর।

অর্থ পাচার মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরীন হাবিবসহ নয়জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক আতাবুল্লাহ এ আদেশ দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের ৩০ কোটি ৬৭ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৩ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলা করে। পরে তদন্ত শেষে নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিলে আদালত আমলে নিয়ে ২০১৬ সালে বিচার শুরু করেন। দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মোশাররফ হোসেন কাজল।

দুদকের আদালত পরিদর্শক আশিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দণ্ডিত খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরীসহ নয় আসামি পলাতক আছেন। আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্র বলছে, ব্যাংকিং খাতের আরেক আর্থিক কেলেঙ্কারি বিসমিল্লাহ গ্রুপের প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১২ মামলায় ৫৪ জনকে আসামি করে দুদক।

এ ছাড়া প্রাইম ব্যাংক মতিঝিল শাখা থেকে ফান্ডেড ২৬৫ কোটি ৪০ লাখ ও ননফান্ডেড টাকা ৬১ কোটি আট লাখ, প্রিমিয়ার ব্যাংক মতিঝিল শাখা থেকে ফান্ডেড ২৩ কোটি ২২ লাখ ও ননফান্ডেড ৩৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা, যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের দিলকুশা শাখা থেকে ফান্ডেড ১০৮ কোটি ৪৪ লাখ ও ননফান্ডেড ৪৬ কোটি দুই লাখ টাকা এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ইস্কাটন শাখা থেকে ৯৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা ফান্ডেড ও ১০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ননফান্ডেড হিসাবে অর্থ আত্মসাৎ করেছে।

১২টি মামলার সব কটিতেই বিসমিল্লাহ গ্রুপের পরিচালক খাজা সোলেমান চৌধুরী আসামি।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন বলা হয়, বিসমিল্লাহ গ্রুপ ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো মিলে মোট ১ হাজার ১৭৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এর মধ্যে ফান্ডেড দায় (স্বীকৃত বিলের বিপরীতে) ৯৯০ কোটি ৩ লাখ টাকা এবং ননফান্ডেড অর্থের পরিমাণ ১৮৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

বিসমিল্লাহ গ্রুপ জনতা ব্যাংকের ভবন করপোরেট শাখা থেকে ফান্ডেড ৩০৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ও ননফান্ডেড ২৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, মগবাজার শাখা থেকে ১৭৭ কোটি ১০ লাখ ফান্ডেড ও ননফান্ডেড এক কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং এলিফ্যান্ট রোড শাখা থেকে ফান্ডেড ১৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here