নুরুজ্জামান লাবু: আজ একই দিনে ১০ সাংবাদিক জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারালেন। কাবুলে আত্মঘাতি এক হামলার কিছুক্ষণ পর সেখানে যেসব সাংবাদিকরা জড়ো হয়েছিলেন খবর সংগ্রহের জন্য, সাংবাদিক বেশে তাদের ওপরই দ্বিতীয় দফায় হামলা চালিয়েছে এক আত্মঘাতি হামলাকারী।
এক সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন ৯ সাংবাদিক।
যার মধ্যে এএফপির প্রধান ফটোসাংবাদিক (আফগানিস্তান) শাহ মারাইসহ স্থানীয় টোলো নিউজের ফটোসাংবাদিক ইয়ার মোহাম্মদ তকি, ওয়ান টিভির সাংবাদিক গাজী রাসোলি ও আলোকচিত্রী নওরোজ আলী রাজাবি, আজাদি রেডিও’র ফারিস্তা মহররম দুরানী, সাবাউন কাকর, এবাদুল্লাহ হানানজাই; মশাল টিভির সালিম তালাশ ও আলী সালেমি।
একই দিনে পৃথক হামলায় বিকেলে খোস্ত প্রদেশে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বিবিসি পোশতুর আহমাদ শাহ। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট। কাবুল এবং খোস্ততে পৃথক ঘটনায় সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে সাংবাদিকদের টার্গেট করেই হামলা হয়েছিল।
বাংলাদেশে এরকম একই স্পটে দ্বিতীয়বার হামলা বা মাল্টিপল অ্যাটাকের ঘটনা ঘটেছিল সিলেটে, আতিয়া মহলের জঙ্গি অভিযানের সময়। আস্তানায় অভিযান চলাকালীন বাইরে থেকে অ্যাটাকের পরিকল্পনা করে জঙ্গিরা। জঙ্গিদের বোমায় সেসময় মারা গিয়েছিলেন র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক লে. কর্ণেল আবুল কালাম আজাদসহ ৬ জন। অল্পের জন্য রক্ষা পান সদ্য সংবাদ সম্মেলন শেষ করে আসা সাংবাদিকরা।
বাংলাদেশে জঙ্গি কার্যক্রম যদিও এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রনে, তবু জঙ্গি হামলা বা আস্তানায় কাভার করতে গিয়ে সাংবাদিকদের নিজেদের সচেতনতা অবলম্বন করাটা খুব জরুরী । আমাদের দেশে কোনও ঘটনার পর ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট খুবই দুর্বল। বাঙালি জাতি বেশি কৌতুহলী আর অকর্মণ্য বেশি বলে কাজকর্ম ছেড়ে দূর-দুরান্ত থেকে লোকজন আসে যেকোনো ঘটনাস্থলে, অকারনে । ফলে এখানে মাল্টিপল অ্যাটাকের সম্ভাবনাটা অনেক বেশি। এজন্য আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত আগে থেকেই ।
সমবেদনা নিহত দশ সাংবাদিকসহ নিহত সকল শোকগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি। জঙ্গিবাদ নিপাত যাক।