শওকত আহসান ফারুক: আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন নিয়ে পড়েছি। বেড়ে উঠা কুমিল্লা শহরে, শৈশব কেটেছে জন্মভুমি হাটখোলা কুমিল্লা গ্রামের বাড়িতে। শহর ও গ্রামের রসায়ন নিয়ে গড়েছি নিজের জীবন।
এখন আবসর জীবন যাপন করছি। পঁয়ষট্টি বৎসরের জীবনে ফিরে দেখা অতীত ও ঐতিহ্য নিয়ে লিখছি, রুম নাম্বার ১৪৬। সেটিকেই এখানে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে।
৭৬.
১৯৭১ সালে গ্রামের বাড়িতে দিনগুলো কাটছিলো আনন্দঘন, তবে সদা শঙ্কিত ছিলাম। কখন কি হয়, বাড়িতে আমার সমবয়সী অনেকেই আছে, বাড়ির পাশেই খাল খালের উপর কাঠের পুল। রাতে সেই পুলে চলে সবার আড্ডা। গল্প কৌতুক, গানে মাতিয়ে রেখেছে। সবাই মিলে প্রতিদিন একটা গান উচ্চ কন্ঠে গাইতাম।
‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’
পাড়াগাঁও কোন ভয় ছিলো না। আমি রাগীব, জহিরুল, হুমায়ুন, শাহনেওয়াজ, নবীনেওয়াজ সবাই প্রায় সমান বয়সী। আমাদের বড় গ্রুপে ছিলো কয়েক জন মোসলেম কাকা, রাজ্জাক কাকা, মালেক কাকা, রহমান কাকা সবাই বেশ আমুদে স্বভাবের। ছোটদেরও একটা দল ছিলো, কোহিনূর, মিলন, খোকন, আশেপাশের বাড়ির সব মিলে এ’বাড়ি ও’বাড়ি ঘুরে বেড়াই। আমাদের বাড়ির সবার অবস্থাই স্বচ্ছল, পুকুরের মাছ, গোলা ভরা ধান, গাভীর দুধ, সবই আছে। তবুও কিছু কিছু প্রয়োজনীয় সদাই কিনতে বাজারে যেতে হয়, সবচাইতে কাছের গঞ্জ, ইলিয়টগঞ্জ, বাড়ি থেকে আড়াই মাইল দূরে। আমার দাদা রুস্তম আলী ভুঞা সিদ্ধান্ত নিয়ে বাড়ির দক্ষিণে হাটখোলা প্রাইমারি স্কুলের পেছনে একটা বাজার বসিয়ে দিলেন, আশেপাশের গ্রামের সবার সুবিধার্থে।
গ্রামের নাম হাটখোলা, কোন এক সময় হয়তো তিনশত বৎসর পূর্বে এখানে হাট বাজার ছিলো, এবার নামের স্বার্থকতা ফিরে পেলো। প্রতি শুক্রবার ও সোমবার হাট বসে, আর প্রত্যুষে বসে আড়ং। এখনও নিয়মিত চলছে সেই হাট ও আড়ং। চিঠিপত্র যোগাযোগের জন্য একটা পোস্ট অফিস স্থাপন করেন। মাসিক ২৫ টাকা বেতনে সৈয়দ ভূঞা পোস্টমাস্টার নিয়োগ পান। আমার পিতা আলী হোসেন ভূঞা ”হাটখোলা হাইস্কুল’ ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। দেখতে দেখতে দুইটা চায়ের দোকান, কয়েকটা মুদি দোকান বসে গেলো, মোবারক কাকা, ডঃ মোশারাফ হোসেন ভূঞা, তাহার চেম্বার বাজারে নিয়ে গেলেন। সহসাই হাটখোলা হাট জমে উঠলো। এখন এখানে সবকিছু মিলে। রাতেও আড্ডা হয় চায়ের দোকানে। প্লাবন ভূমির দেশ আষাঢ় শ্রাবণ মাসেই সব জমি চলে যায় পানির নিচে। তখন নৌকায় যোগাযোগ।
স্কুল ঘরের কয়েটা ক্লাশ রুম খালি করে দিলেম। বাড়ির সামনে ডিস্টিক বোর্ডের পথ অনেক লোকের আনাগোনা, এই পথ দিয়ে ইলিয়টগঞ্জ ধরে মুরাদনগর দেবীদ্বার, বুড়িচং হয়ে ভারতে যাওয়া যায়, নিরাপদ পথ, মতলব, কচুয়া, চাঁদপুরের লোকজন এই পথেই যাতায়াত করছে। আমরা সবাই উদ্যোগ নিয়ে স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করে দিলাম, একটা সরাই খানা খুলে দিলাম। প্রতিদিন প্রায় ১৫/২০ জনের রান্না হয় সেখানে।
নাম মনে নেই, নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছে একজন মতলব হয়ে লঞ্চে। দেখে এসেছে আদমজীতে পাকিস্তান বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ, আগরতলা যাবে মুক্তিযুদ্ধে কারখানার শ্রমিক, চাঁদপুর কলেজের একজন ছাত্রলীগের কর্মী এসেছে, আমাকে দেখে চিনেছে। ১৯৭০ সালে চাঁদপুর মহাকুমা ছাত্রলীগ সম্মেলনে গিয়েছিলাম, জেলা কমিটির পক্ষ থেকে। অনেক কথা হলো, আমার কাছে ভারতে যাবার রুট ম্যাপ জানতে চাইলো, আমি তাকে অপেক্ষা করতে বললাম, এক দুই দিনে আরো লোক আসবে একসাথে সবাইকে পাঠিয়ে দেবো, এভাবে কয়েক জনের দল হয়ে য়ায, আমি পথ বাতলিয়ে দিয়েছি ভেতরের পথ ধরে কিভাবে ভারতে যাওয়া যাবে।
ময়নামতি দিয়ে বাস চলে, তবে যুবক দের জন্য নিরাপদ নয়, পথে চলে কড়া চেকিং, একটু সন্দেহ হলে নামিয়ে রাখে, আর কখনো তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তেমনি অনেকেই ভারত থেকে এসেছে সেখানের খরবা খবব নিয়ে। মুক্তিযুদ্ধের শেষ হওয়া পূর্যন্ত হাটখোলা হাইস্কুলে সরাই খানা চালু ছিলো। আমাদের বাড়ি এবং পাশের গ্রামের সবাই সহযোগিতা করছে, চাল, ডাল, ডিম, তরকারি মাছ মাংশ টাকা পয়সা দিয়ে।
বধ্য ভূমিতে দেশের বড় বড় সড়কপথ নিরাপদ নয়, নিয়মিত আর্মি টহল থাকে। তাই গ্রামের ভেতরের পথই সেই সময় চলাচলের জন্য নিরাপদ ছিলো।
৭৭.
হাটখোলা পূর্ব দক্ষিণে মাইল খানিক দূরে অন্যগ্রাম। জুন মাসের একদিন দুপরে হঠাৎ দেখি শত শত নারী পুরুষ শিশু দৌড়ে আমাদের বাড়ির দিকে আসছে, আতঙ্কিত হয়ে। বাড়ির সামনের রাস্তায় এসে উপস্থিত। একটাই কথা –মিলিটারি আসছে,– মিলিটারি আসছে। আমরাও আতঙ্কিত হলাম, পাশের গ্রাম সবাই আতঙ্কিত, উৎকন্ঠিত। কি করা যায়। সবাই উত্তর দিকে পালাচ্ছে। হাটখোলা গ্রামের ১ মাইল উত্তরে কুমিল্লা ঢাকা মেইন রোড। আর দক্ষিনে প্রায় ২০ মাইল দূরে কুৃমিল্লা চাঁদপুর রোড।
হুজুগে আমাদের বাড়ির সবাই উত্তর দিকে যাবার জন্য প্রস্তুত, — মিলিটারি আসছে, — মিলিটারি আসছে।
তাদের কাছে জানতে চাইলাম কেউ কি মিলিটারি দেখেছো। কেউ দেখেনি, শুনেছে শুধু মিলিটারি আসছে, বাড়ি থেকে পাঁচ মাইল দূরে ‘সাচার’ ওদিক থেকেও লোক পালাচ্ছে, সবাই ভয়ে দিক-বেদিক হয়ে পালাচ্ছে। এখনও দলে দলে লোক দৌঁড়ে আসছে। সবাইকে আস্বস্থ করলাম, জমিতে তখন বর্ষার পানি আসতে শুরু করেছে যদি এখানে মিলিটারি আসে তবে তো উত্তর দিক থেকে আসবে। ১ মাইল দূরে উত্তর দিকে ‘দ্যা গ্রেন্ড ট্রাংক রোড’ মানে কুমিল্লা-ঢাকা রোড দিয়ে আসবে। ২০ মাইল দক্ষিণে চাঁদপুর হাজিগঞ্জ রোড, সেখান দিয়ে এখানে মিলিটারি আসবে কেন? আমরা এখানে আতঙ্কিত হয়ে দৌঁড়চ্ছি কেন।
আমার যুক্তি শুনে সবাই থমকে গেলো। তাইতো কেউ মিলিটারি দেখেনি, শুধু শুনেছে হুজুকে সবাই আতঙ্কজনকভাবে পালাচ্ছে। তখন মিলিটারির নাম শুনলে নারী, পুরুষ, শিশু সবাই এমনই আতঙ্কিত হতো।
সবাই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো, এমন ঘটনা তখন দেশে নিয়মিত ঘটতো। দেশ কোথাও কোথাও মিলিটারি এসে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খার করে দিতো, নির্বিচারে করতো হত্যা।
বধ্যভূমিতে আমাদের দিন যাপন এতটাই ভয়বাহ ছিলো।
দাদার সাথে
সেদিন রবিবার ছিলো গৌরিপুর হাটবার। দাদাকে বায়না ধরলাম চলো গৌরিপুর যাবো, সেখানের রসগোল্লার দারুণ স্বাদ, রাগীব ও আমি নাছোরবান্দা রসগোল্লা খাবো। বাড়ি থেকে গৌরিপুর বাজার প্রায় ৬/৭ মাইল উত্তর পশ্চিমে হেঁটে যেতে হবে, রায়পুর পর্যন্ত তারপর রিক্সা বা বাসে। সকাল ১২ টার দিকে রওনা হয়ে যাই। দাদা আমাদের ভালো বন্ধু, বাড়ি থেকে রায়পুর গিয়ে পাকা রাস্তায় উঠি। হাঁটতে হাঁটতে পুরনো দিনের কতো গল্প, আমার আপন দাদী নেই, দাদার দাদী গত হবার পর ধিতপুর ভুঞা বাড়িতে ২য় বিয়ে। দাদা বললেন বিয়েতে তোদের বাবা বরযাত্রী হয়ে আমার সাথে এসেছিলো, সেই ১৯৩৫/৩৬ সালের কথা।
বিয়ের ২ বৎসবের মাথায় তিন দিন জ্বরে ভুগে তিনিও গত হন। সেই সময় চিকিৎসা বিদ্যা এতটা উন্নত ছিলো না। খুব রূপবতী ছিলেন সেই দাদী। রায়পুর পার হতেই বায়না ধরি দাদা আপনার শ্বশুড় বাড়িতে যাবো। দাদার মুখ উজ্জল হয়ে উঠলো, জানিস সেই বাড়িতে গেলে আমাকে এখনও অনেক আপ্যায়ন করে, দেখবি চল। আমরা সানন্দে রাজী হয়ে গেলাম, মহা ধুমধাম করে বিয়েটা হয়েছিলো।
রায়পুর বাজারের মাইক খানেক পশ্চিমে ধীতপুর। বিশাল জমিদার বাড়ি। চারটে বড় দালান, আমাদের বাড়ির প্রায় চারগুন বড় সেই বাড়ি। দাদাকে বললাম এতো বড় বাড়ির সুন্দরী মেয়েকে কি দেখে আপনার কাছে বিয়ে দিলো, আপনার রয়েছে তখন ছয়টি সন্তান। দাদা হাসি মুখে বললো, দাউদকান্দি থানায় আমার ভীষণ নামডাক, আমার কাছে বিয়ে দিতে পেরে ধীতপুরের ভুঞারা নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করেছিলো। ধীতপুর পৌঁছে সেদিন দেখলাম দাদার সম্মান, – ফুফাজি এসেছে, — দুলাভাই এসেছে। সবাই ছুটে এলো। আমাদের পরিচয় করিয়ে দিলেন। শওকত, আলী হোসেনের বড় ছেলে আমার বড় নাতী, এটা রাগীব, গোলাম হোসেনের ছেলে।
আমরা বাজারে যাবো কে শুনে কার কথা, যাবার সাথে সাথে লেবুর শরবত ও মুগ পাক্কন পিঠা খেতে দিলো, পোলাও মুরগীর মাংস ও পুকুর থেকে জাল দিয়ে মাছ ধরে বিরাট আয়োজন করে খাওয়ালো, দাদার শ্বশুড় বাড়িতে বেড়ানোর সৌভাগ্য হলো। আমাদের আসতে দিবে না থাকতে হবে, আর একদিন আসবো কথা দিয়ে বিকেল প্রায় তিনটায় গৌরিপুরের বাজারের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরি।
৭৮.
দাউদকান্দি থানায় গৌরিপুর গোমতীর পাড়ে অবস্থিত বিখ্যাত বাজার। কুমিল্লা শহরের পাশ দিয়ে গোমতী কন্যা প্রবাহিত হয়ে বুড়িচং, কোম্পানিগঞ্জ, মুরাদনগর, গৌরিপুর ছুঁয়ে দাউদকান্দি হয়ে মেঘনায় এসে পড়েছে, পেয়েছে সঙ্গম সূখ। কুমিল্লার ৬ মাইল পূর্বদিকে গোলাবাড়ি দিয়ে এসেছে, উৎপত্তিস্থল ত্রিপুরার ডুমুরিয়া। পাহাড়ি নদী খরস্রোতা। হোমনা, বাঞ্ছারামপুর থানার সাথে যোগাযোগ এই গৌরিপুর দিয়েই। এলাকার বড় মোকাম। তখন নদীপথেই চলতো সব ব্যবসা বানিজ্য। নারায়ণগঞ্জ এর সাথে রয়েছে সরাসরি লঞ্চ যোগাযোগ। মুরাদনগরের আসমানিয়া পর্যন্ত লঞ্চ আসে। আমরা এই গোমতী দিয়ে নৌকা ও লঞ্চে করে অনেক জায়গায় বেড়াতে গিয়েছি। কুমিল্লা জেলার পুরোটা জুড়ে রযেছে প্রমত্তা কন্যা গোমতী।
দাদার শ্বশুড় বাড়ি ধীতপুর থেকে তিনটার সময় বের হয়ে সদর রাস্তায় এসে পৌঁছাই। পথের উত্তর দিকের গ্রামের নাম বানিয়াপাড়া। বাসে করে যতবার কুমিল্লা হয়ে ঢাকা যাতায়াত করেছি রায়পুর পার হয়ে ডানদিকে বানিয়াপাড়া দিকে তাকিয়ে দেখেছি, সেখানে রয়েছে অত্যন্ত সুন্দর একটা মসজিদ। পুরটা মসজিদ চীনামাটির ভাঙ্গা কাঁচ দিয়ে সাজানো। রাস্তা থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে তাজমহলের মতো চকচক করে, কাছে গিয়ে মসজিদ দেখার ইচ্ছে হতো, কিন্তু কখনো সুযোগ হয়নি। আজ সুযোগ হলো দাদাকে বললাম চলেন কাছে গিয়ে তাজমহলের মতো চকচকে মসজিদটা দেখি, দাদা আমাদের আবদারের মর্যাদা দেন, খুশীও হলেন। তিন গম্বুজওয়ালা সুন্দর একটা মসজিদ। দেখতে ঢাকার তারা মসজিদ এর মতো। গিয়ে সত্যি অবাক, এতো সুন্দর কারুকাজ। এতো চীনামাটির টুকরা সেই সময় কোথায় পেলো?, দাদা বললেন অনেক বৎসর লেগেছে এই মসজিদ গড়তে। আমি আর রাগীব খুটিয়ে খুটিয়ে সব দেখলাম। দাদা আসর নামাজ আদায় করলেন। এতো কারুকাজময় মসজিদ আমরা আগে কখনও দেখেনি।
বানিয়াপাড়া থেকে বের হয়ে আবার সদর রাস্তায় এলাম। কোন রিক্সা বা বাস পেলাম না, পথ ফাঁকা।
হাটবারে এতো ফাঁকা পথ? হাঁটতে থাকলাম, আমাদের পড়নে ছিলো লুঙ্গি। জিংলাতলী আসার পর পেছনে তাকিয়ে দেখি পূর্বদিক থেকে মিলিটারি কনভয় আসছে। সেদিনই মনে হয় প্রথম ময়নামতি সেনানিবাস থেকে কনভয় বেরিয়েছে। ভয়ে, আতঙ্কে আমাদের বুক কাঁপছে। দাদা অভয় দিলেন, আমি বয়স্ক লোক, আমি আছি কিছুই হবে না। আমরা সদর রাস্তা থেকে নেমে জিংলাতলী প্রাইমারি স্কুলের সামনে চলে গেলাম, একবার ভাবলাম স্কুলের পেছনে আত্মগোপন করি। ভয়, উৎকন্ঠা, আমাদের দেখতে গ্রামের সাধারণ ছেলের মতোই দেখাচ্ছে, তিনমাস গ্রামে থেকে শহুরে ছাপ মুছে গেছে। দাদা বিচক্ষণ লোক বললেন আমাদের মিলিটারি দেখছে যদি আত্মগোপন করি সন্দেহ করবে। হয়তো নেমে এসে খুঁজবে। সাধারণ সহজ হয়ে হাঁটতে থাক।
ধীর গতিতে বড় একটা মিলিটারি কনভয় পেরিয়ে গেলো, মেশিনগান, কামান রাইফেল সবই ছিলো, সতর্ক নজরদারী। দাদাও আমাদের নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলেন, কিন্তু আমরা ভয় পাই বিধায় চেপে গেলেন। ভাবলাম বাড়ি ফিরে যাই। দাদা বললেন কিছু হবেনা আমরা গৌরিপুর যাবো, তবে সদর রাস্তা দিয়ে নয়।
রাস্তা পেরিয়ে উত্তর দিকে জমিতে নেমে গেলাম। দূরে গৌরিপুর বাজার দেখা যাচ্ছে। চলবে…..।