টুর্নামেন্টের শুরুতেই তামিম ইকবালকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। মাঝপথে সাকিব আল হাসানকে। অনেকেই ছিলেন ইনজুরি আক্রান্ত। সেই দল নিয়েই এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছে টাইগাররা। সেই পথে বিদায় করেছে ক্রিকেট পরাশক্তি শ্রীলংকা, পাকিস্তান এবং নব্য শক্তি আফগানিস্তানকে। শেষ পর্যন্ত রোহিত বাহিনীর কাছে ৩ উইকেটে হেরেছে তারা।
এশিয়া কাপের ফাইনালে পরাশক্তি ভারত এবং অঘোষিত সেমিফাইনালে শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে হৃদয়জয়ী খেলা উপহার দিয়ে দেশে ফিরেছেন মাশরাফির দল। গতকাল শনিবার রাত সোয়া এগারোটায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তার দল।
এ সময় তাদেরকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়।
দেশে ফিরেই নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে পোস্ট করা এক স্ট্যাটাসে আগামী এশিয়া কাপে দেশের জন্য সকলকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে বললেন মাশরাফি।
ষ্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, “নাহ! এবারও হোল না! আমরা যখন মাঠে খেলি তখন আমরা শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করি দেশকে যেন জিতাতে পারি। তখন মুশফিক পাজরের ব্যাথা নিয়ে ব্যাটিং করে টানা তিন ঘন্টা, সাকিব হাতে সেলাই নিয়ে খেলে, তামিম ভাংগা হাত নিয়ে নেমে পরে ব্যাটিং করতে একহাতে।
আমরা ক্রিকেটের ছোট পরিসরে একটা জয় দিয়ে যদি ১৬ কোটি মানুষের মুখে হাসি দিতে পারি, তাহলে একবার চিন্তা করে দেখেন তো যদি সবাই মিলে নিজের স্থান থেকে যদি দেশের জন্য কিছু করি তাহলে দেশটার কি আমূল পরিবর্তন করতে পারি।
শুধু দরকার একটু দায়িত্ববোধ ও চেষ্টার। আসুন না আমরা সবাই মিলে একবার চেষ্টা করেই দেখি এই লাল সবুজের পতাকাটার জন্য। আমরা প্রতিদিনই জিতার চেষ্টা করি আজকে না হয় হারলাম, নিশ্চয়ই কালকে আবার জিতব। দেখা হবে আবার।
আরেকটি ফাইনাল, আবারো শেষ বল, ফের স্বপ্নভঙ্গ। রোমাঞ্চ ছড়িয়ে সেই হারের তেতো স্বাদ। শুক্রবার এশিয়া কাপের ফাইনালে শেষ বলের ফয়সালায় ভারতের কাছে হেরে তৃতীয়বার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বাংলাদেশের।
তবে ফাইনালি যে লড়াই করেছে টাইগাররা, তাতে শনিবার রাতে মাথা উঁচু করেই দেশে ফিরলেন তারা। রাত সাড়ে ১১টায় মাশরাফিদের বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে তাদের শুভেচ্ছা জানায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
তবে ২২২ রানের স্বল্প পুঁজি নিয়ে ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে যেভাবে লড়েছে তা নজর কেড়েছে সবার। প্রশংসার বৃষ্টিতে ভিজছেন মাশরাফি ব্রিগেড। তাদের বন্দনায় বিশ্ব ক্রিকেটাঙ্গনের সাবেক ও বর্তমান রথী-মহারথীরা। কিন্তু দুধের স্বাদ কী ঘোলে মিটবে? সেই প্রশ্নটা শেষ পর্যন্ত থেকেই যাচ্ছে। এ নিয়ে তৃতীয়বার স্বপ্নভঙ্গ হলো বাংলাদেশের।
এর আগে ২০১২ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটে এবং ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলে টাইগাররা। প্রথমবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ রানের হারে বেদনাদায়ক চিত্রনাট্য রচিত হয়। আর সবশেষ টি-টোয়েন্টি সংষ্করণে ভারতের কাছে ৮ উইকেটে হেরে দ্বিতীয়বার স্বপ্নভঙ্গ হয়। এবারো তার ব্যত্যয় ঘটেনি।