সেখানে ৪১ জন কাউন্সিলদের শপথ করান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী নতুন মেয়র ও কাউন্সিলদের দলমত নির্বিশেষে জনগণের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানান।
বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে পরাজিত করে গত ১৫ মে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের এই ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক জয়ী হন।
মোট ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৮৬ কেন্দ্রে আবদুল খালেক এক লাখ ৭৪ হাজার ৮৫১ এবং মঞ্জু এক লাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট পেয়েছিলেন। এছাড়া ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী ১৪ হাজার ৩৬২, জাতীয় পার্টি (এরশাদ) প্রার্থী ১০৭২ ও সিপিবি প্রার্থী ৫৩৪ ভোট পেয়েছিলেন।
৩১টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ ১৪, বিএনপি ৮ এবং স্বতন্ত্র ৯ প্রার্থী জয়ী হয়। এছাড়া, সংরক্ষিত মহিলা আসনের মহিলা কাউন্সিলর পদে দশজন নির্বাচিত হয়েছে।
বিভিন্ন দল থেকে কাউন্সিলর পদে জয়ী হওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র। এখানে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধি আছেন। আপনারা দলমত নির্বিশেষে খুলনার জনগণের জন্য কাজ করবেন। আমরা সুষম উন্নয়নে বিশ্বাস করি।”
পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “খুলনা এক সময় প্রাণবন্ত শহর ছিলে। পরে তা মৃত নগরীতে পরিণত হয়। আমাদের চেষ্টায় আবার খুলনার সেই প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে, তা যেন বজায় থাকে।”
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতেই খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নতুন মেয়র ও কাউন্সিলরদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
আওয়ামী লীগের সরকারের নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের ফলে খুলনার উন্নয়নের কথা এবং সুপেয় পানির ঘাটতি নিরসনে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
খুলনার উন্নয়নে নেওয়া প্রকল্পগুলো যেনে যথাযথভাবে এবং যথাসময়ে শেষ হয়, সে ব্যাপারে নজর দিতেও জনপ্রতিনিধিদের তাগিদ দেন তিনি।
এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জাফর আহমেদ খান।