ঢাকায় আনার পথে এনা পরিবন ও গ্রীনলাইনের যাত্রীবাহী বাসের ৬ যাত্রীর কাছ থেকে ১২০ টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৩। আটক করা হয়েছে ছয়জনকে। ওই ৬ যাত্রীর প্রতেকের কাছে ছিল ২০টি করে স্বর্ণের বার।স্বর্ণ বারগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা। বারগুলো যায়গামতো পৌঁছে দিলেই জনপ্রতি পেতেন ১৪ হাজার টাকা।
সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে ব্রিফ করেন র্যাব-৩-এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. রাহাত হারুন খান।
এনা পরিবহের বাস থেকে আটককৃতরা হলেন, মো. জামাল হোসেন (২২), মো. তানভীর আহমেদ (২৫), মো. রাজু হোসেন (২৩) এবং গ্রীনলাইনের বাস থেকে আটককৃতরা হলেন, মো. আবুল হসানা (৩৫), মো. রাজু আহমেদ (৩০) এবং মো. আলাউদ্দিন (৩২)।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর পাঁচদোনা এলাকা থেকে গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে চার টার দিকে এনা পরিবহনের বাসে তল্লাশী করে তিন যাত্রীর কাছ থেকে ৬০টি স্বর্ণের বারসহ তাদের আটক করা হয়। অন্যদিকে বেলা সাড়ে পাঁচটার দিকে একই রুটে গ্রীন লাইনের একটি বাসে তল্লাশী চালিয়ে আরও ৩ জনের কাছ থেকে ৬০টি স্বর্ণের বারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
র্যাব-৩-এর উপ-অধিনায়ক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আটক ওই ছয় যাত্রী স্বর্ণ চোরাকারবারী। তাদের প্যান্টের গোপন পক্যাটে প্রত্যেকের কাছে ২০টি করে মোট ১২০টি স্বর্ণবার ছিল। এসব স্বর্ণবার তাদের যায়গামতো পৌঁছে দিলে প্রত্যেকেই পেতো ১৪ হাজাত টাকা করে।
র্যাবের এই উপ-অধিনায়ক বলেন, আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণের বার তারা দেশের সীমান্ত দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার করে আসছিল।
স্বর্ণ চোরাচালানের মূলহোতারা গ্রেফতার হয় না কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে মেজর রাহাত হারুন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর মূলহোতাদেরকেও আমরা গ্রেফতার করতে পারবো।