অনেক সময় আপনার সঙ্গীর পরকীয়ার জন্য দায়ী হতে পারেন আপনি নিজেই। না জেনেই নিজের সম্পর্কের সর্বনাশ ডেকে আনে অনেকে। নিজের কিছু স্বভাবের কারণে ধীরে ধীরে সঙ্গীর থেকে মন উঠে যায়। ফলে ভালোবাসার মানুষটি জড়িয়ে পড়ে অনৈতিক সম্পর্কে। আসুন জেনে নেয়া যাক ৫টি স্বভাব সম্পর্কে যেগুলো আপনার সঙ্গীকে ঠেলে দিতে পারে পরকীয়ার দিকে।
কিছুদিন ধরেই মনে হচ্ছে আপনার সঙ্গীটি সম্পর্ক থেকে কেমন যেন দূরে সরে গিয়েছে। মাঝে মাঝে ফোনে কার সাথে যেন কথা বলে, আবার ডায়াল লিস্ট থেকে নামটাও মুছে দেয়। আপনার প্রতি আগের সেই টান নেই তার। খুব বেশি বাইরে বাইরে থাকছে, প্রায়ই হয়তো বাইরে থেকে খেয়ে আসছে। তবে কি তার সাথে অন্য কেউ ছিলো? সে কি পরকীয়া করছে? কিন্তু কেন?
শারিরীক মিলনে অনীহা
বৈবাহিক সম্পর্কের সুখ শান্তি অনেকাংশেই নির্ভর করে যৌন জীবনের সুখ শান্তির ওপরে। স্বামী/স্ত্রীর শারীরিক মিলনে আগ্রহ কম থাকলে কিংবা আগ্রহ হারিয়ে ফেললে সঙ্গী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে অনেক সময়। এছাড়াও শারীরিক মিলনে অক্ষমতার কারনেও অনেক সময় সঙ্গী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
সঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা না দেখানো
অনেকেই ভাবেন বিয়ে করলে আবার ভালোবাসা দেখানোর কি আছে? ভালোবাসা দেখায় তো প্রেমিক প্রেমিকারা। কিন্তু যারা মনে এ ধারণা পোষণ করেন তাদের সঙ্গীর পরকীয়ায় জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ বিয়ের পরেও সারাজীবনই সঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা দেখানো উচিত। প্রতিদিনই মুখে বলা উচিত আপনার সঙ্গীকে আপনি কতটুকু ভালোবাসেন। এছাড়াও ছোট খাটো উপহার দিয়ে মাঝে মাঝে ভালোবাসা প্রকাশ করুন। এতে সম্পর্কের উষ্ণতা বজায় থাকবে।
সঙ্গীর কাছে নিজেকে আকর্ষনীয় দেখনোর চেষ্টা না করা
প্রেম করার সময় কিংবা বিয়ের পর প্রথম প্রথম সঙ্গীর কাছে নিজেকে আকর্ষনীয় দেখানোর চেষ্টা তো সবাই করে। কিন্তু ধীরে ধীরে এই আগ্রহ অনেকটাই কমে যায় অনেকের। সময়ের সাথে সাথে সঙ্গীর সামনে নিজেকে গুছিয়ে রাখার চেষ্টা একেবারেই কমিয়ে দেয় কেউ কেউ। ফলে সঙ্গীর প্রতি কোনো আকর্ষনবোধ থাকে না এবং অনেকে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে নতুন আকর্ষনের খোজে।
তাই সঙ্গীর কাছে নিজেকে চিরকালই সুন্দর ও আকর্ষণীয় রাখার চেষ্টা করুন। নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন এবং ত্বকের যত্ন নিন সবসময়। এছাড়াও সুন্দর পোশাক পরুন এবং সুগন্ধি ব্যবহার করুন সবসময়।
অতিরিক্ত সন্দেহ করা
অনেকেই নিজের সঙ্গীকে অতিরিক্ত সন্দেহ করে। সম্পর্কের শুরু থেকেই অতিরিক্ত সন্দেহ করে সঙ্গীর মনটা বিষিয়ে তোলে অনেকেই। এই অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করার চেষ্টা করা জরুরী। কারণ এক্ষেত্রে অনেক সময় জেদের বশে নিজেকে পরকীয়ায় জড়িয়ে ফেলে সঙ্গী।
নতুনত্ব না থাকা
প্রতিদিন একই রুটিনে ঘুম থেকে ওঠা, খাওয়া, কর্মস্থলে যাওয়া এবং আবার ঘুমিয়ে পড়ার কারণে অনেকের কাছেই জীবনকে একঘেয়ে মনে হয়। জীবনের এক ঘেয়েমীর কারণে অনেক সময় সঙ্গী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে নতুনত্বের স্বাদ খোঁজার জন্য। বিবাহিত জীবনটা যাতে একঘেয়ে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। দুজন মিলে গল্প করুন, বেড়াতে যান, নতুন কিছু শিখুন কিংবা বন্ধুদের দিয়ে আড্ডা দিন নিয়মিত। কোনো ভাবেই নিজেদের জীবনটাতে ‘একঘেয়েমি’ প্রবেশ করতে দিবেন না।
সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমে যে বিষয়গুলো ভেবে দেখবেন
মনের মানুষটির দেখা কোথায় মিলবে তা আমরা কেউই জানি না। হতে পারে অনেকদিনের পরিচিত কাউকেই হঠাৎ ভালোলাগতে শুরু করলো। আবার এমনও হতে পারে অপরিচিত কারো প্রতি অনুভব করতে শুরু করলেন ভালোবাসা। এমনকি ছুটির দিনটি বাদ দিয়ে সপ্তাহের পুরোটা সময় যেখানে কাটে, সেই অফিসেও মিলতে পারে পছন্দের মানুষটির দেখা। কারণ, একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে পরস্পরের ভালোলাগা-মন্দলাগার অনুভূতিগুলো সম্পর্কে জানা যায়। এভাবেই হয়তো ধীরে ধীরে জন্ম নেয় ভালোবাসা। তবে কর্মক্ষেত্রে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর আগে কিছু বিষয় ভেবে দেখবেন-
কোনো কোনো অফিসের নিয়মাবলীর মধ্যেই উল্লেখ করা থাকে অফিস রোমান্স গ্রহণযোগ্য কিনা। অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি উল্লেখ করা না থাকলেও অলিখিত নিয়ম থাকে সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমকে ভালো চোখে না দেখার। তাই প্রথমেই অফিসের নিয়মকানুনগুলো জেনে নিন, প্রয়োজনে এইচআরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলুন। যদি ম্যানেজমেন্টের আপত্তি থাকে তাহলে দুজনের যেকোনো একজন অন্য কোথাও চাকরি খুঁজুন! প্রেম টিকিয়ে রাখা বলে কথা!
প্রেমের কারণে অফিসের কাজের মান কমছে কি? দুজন দুজনকে সারাক্ষণ চোখের সামনে দেখতে পেয়ে বাকিসব ভুলে যাচ্ছেন না তো! একসঙ্গে কাজ করতে গেলে সম্পর্কের প্রভাব কাজে পড়বেই। এখন কথা হলো, আপনি তা ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাচ্ছেন না কি নেতিবাচকভাবে? যদি প্রেমকে শক্তি মেনে নিয়ে কাজ করেন তবে আপনার উন্নতি ঠেকায় কে!
অফিসের অন্য সহকর্মীরা আপনাদের বিষয়টি সহজভাবে নাও নিতে পারেন। পেছনে কানাঘুষা, গসিপ হবেই। এসব মেনে নিয়ে সম্পর্কে কতটা অটল থাকতে পারবেন? যদি সবকিছু এড়িয়ে নিজেদের মতো ভালো থাকতে পারেন, তবেই এগিয়ে যান।
সহকর্মী হওয়ার কারণে মনের মানুষটির সঙ্গেই না আবার পেশাগত দ্বন্দ্ব লেগে যায়! তখন শ্যাম রাখি না কূল রাখি অবস্থায় হাবুডুবু খাওয়াও বিচিত্র নয়। এসবকিছু মাথায় রেখেই সম্পর্কে জড়ান।
আজ প্রেম আছে বলে কালও থাকবে এমন কোনো কথা নেই। নানা টানাপোড়েনে পড়ে সম্পর্কটাই ভেঙে যেতে পারে একসময়। কিন্তু সম্পর্ক ভাঙলেও তো আর চাকরি ছাড়া চলবে না। তখন কোনোরকম মানসিক চাপ ছাড়াই চাকরিটা করতে পারবেন তো? ভেবে দেখুন।
স্বামী কে আকৃষ্ট করার সহজ ১০ টি উপায়
সব স্ত্রীরাই চান স্বামীকে তার প্রতি আকৃষ্ট করতে। সব নারীই প্রত্যাশা করেন , স্বামী নিজের সব কিছু দিয়ে একমাত্র তাকেই ভালোবাসবে। কিন্তু সব স্ত্রীদের এমন ভাগ্য হয়না । তবে সামান্য কিছু বিষয়ে দৃষ্টি রাখলে স্বামীর ভালোবাসা অর্জন করা কোনো ব্যাপারই না। আসুন জেনে নেই এ ব্যাপারে ১০ টিপস ।
স্বামীর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন: চোখের ভাষায় স্বামী কে বুঝিয়ে দিন আপনি তাকে কতটা ভালোবাসেন ।
নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন: নিজেকে সবসময় পরিপাটি রাখুন। নিজের যত্ন নিন। সুগন্ধী ব্যবহার করুন।
স্বামীকে বিভিন্ন কাজে সহায়তা করুন: স্বামী কে তার বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করলে আপনি তার মনোযোগ পাবেন এবং সংসারের বিভিন্ন কাজে সহযোগিতাও পাবেন।
তার পরিবার এবংবন্ধুদের প্রতি সামাজিক হোন: স্বামীর পরিবারের লোকজন এবং বন্ধু বান্ধব দের নিজের মতো আপন করে নিন । প্রত্যেকটি ছেলে সাধারণত সামাজিক ও মিশুকে প্রকৃতির মেয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয় ।
একত্রে থাকার সময় অন্য কারো সাথে ফোনে কথা বলা বন্ধ করুন: এছাড়া স্বামীর সাথে ফোনে কথা বলার সময় বোঝাতে চেষ্টা করুন আপনি তার প্রতি কতটা মনোযোগী । তার প্রতি আপনার পূর্ণ আকর্ষণ রয়েছে ।
স্বামীকে বিভিন্ন প্রশ্ন করুন : বিশেষত তার সম্পর্কে । স্বামীর সব সময় তার ব্যাপারে আলোচনা পছন্দ করে । যেমন তার ভাল লাগা ,খারাপ লাগা, প্রিয় জিনিস, পছন্দ, অপছন্দ ইত্যাদি ।
কোথাও প্রবেশের সময় আগে গিয়ে দরজা খুলে তাকে স্বাগত জানান । এ বিষয়টি পুরুষদের ভীষণ প্রিয় ।
তার সৌন্দর্যের প্রশংসা করুন : যেমন – তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে । পোশাকটিতে তোমাকে ভালো মানিয়েছে ইত্যাদি ।
স্বামীর কাছ থেকে পরামর্শ নিন : যেমন – কোনো কাজ শুরু করার আগে মতামত চাওয়া । এতে সে ভাববে আপনি তাকে গুরুত্ব দেন ।
তাঁর পজেটিভ দিকগুলো তুলে ধরুন: যেমন – তোমাকে হাসিখুশি মনে হয় । তোমার সব কাজই ভালো হয় । তুমি অনেক পজিটিভ ইত্যাদি । এসব বিষয়ের প্রতি মনোযোগী হলে স্বামী আপনার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করবে ।