আগামী বছর মার্চের শেষদিকে শুরু হতে যাচ্ছে আইপিএলের দ্বাদশ মৌসুম। এর মধ্যেই আইপিএল কর্তৃপক্ষ নিলামে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের একটা খসড়া তালিকা প্রস্তুত করেছে। সে তালিকায় বাংলাদেশের দশজন থাকলেও, আফগানিস্তানের রয়েছে ২৭ জন!
আইপিএল শুরু হতে আর বেশি দিন বাকি নেই। মার্চের ২৯ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া আইপিএলের দ্বাদশ আসরের জন্য এর মধ্যেই জোরেশোরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এর মধ্যেই সবগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজিই মোটামুটি নিজেদের দল গুছিয়ে নিয়েছে। তবে প্রতিটা ফ্র্যাঞ্চাইজিরই কয়েকজন করে খেলোয়াড় নেওয়া বাকি। সেই ফাঁকা স্থানগুলো পূরণ করার জন্য খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে, যাতে সব মিলিয়ে ১,০০৩ জন খেলোয়াড় নিবন্ধন করেছেন।
এই ১০০৩ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে বিদেশি রয়েছেন ২৩২ জন। এই খসড়া তালিকায় জায়গা পেয়েছেন দশজন বাংলাদেশি। আশ্চর্যের বিষয় হলো, খসড়া তালিকায় জায়গা পেয়েছেন আফগানিস্তানের ২৭ জন খেলোয়াড়।
বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে শুধুমাত্র সাকিব আল হাসানেরই আইপিএল খেলা নিশ্চিত-পরবর্তী আসরের জন্য তাঁকে ধরে রেখেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। গত আসরে মোস্তাফিজুর রহমান মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে খেললেও এই মৌসুমে মুম্বাই তাঁকে ধরে রাখেনি। খসড়া তালিকায় বাকি নয়জন কে কে, সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, এই দশজনের তালিকায় রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, তামিম ইকবাল, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, রুবেল হোসেন।
ওদিকে আফগানিস্তানের খেলোয়াড়দের মধ্যে মোহাম্মদ নবী আর রশিদ খান এবার খেলবেন সাকিবের সঙ্গে সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। মুজীব-উর-রহমানকেও ধরে রেখেছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। এরা ছাড়া আফগানিস্তানের অন্য কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে আইপিএলের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি আপাতত চুক্তি করেনি, কিন্তু খসড়া তালিকায় ২৭ জন আফগান খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন।
আইপিএলে আট ফ্র্যাঞ্চাইজিতে এখনো মোট ৭০ জন খেলোয়াড়ের জায়গা ফাঁকা রয়েছে। এই ফাঁকা জায়গাগুলো ভরাট করার লড়াইতেই নামবেন খসড়া তালিকার ১,০০৩ জন খেলোয়াড়। আসন্ন নিলামে জানা যাবে কোন সেই ভাগ্যবান ৭০ জন খেলোয়াড়, যারা দ্বাদশ আইপিএলে খেলতে যাচ্ছেন।
এই নিলামে যেসব খেলোয়াড়দের দিয়ে কাড়াকাড়ি হতে পারে, তারা হলেন—ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, কোরি অ্যান্ডারসন ও কলিন ইনগ্রাম (নিউজিল্যান্ড), লাসিথ মালিঙ্গা ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস (শ্রীলঙ্কা), শন মার্শ ও ডি’আর্চি শর্ট (অস্ট্রেলিয়া), ক্রিস ওকস ও স্যাম কুরান (ইংল্যান্ড), ডেল স্টেইন (দক্ষিণ আফ্রিকা)। খসড়া তালিকায় থাকা উল্লেখযোগ্য ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে রয়েছেন যুবরাজ সিং, অক্ষর প্যাটেল, মোহাম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা, ঋদ্ধিমান সাহা প্রমুখ।
নিজের দলের ঘাটতি পূরণ করার লক্ষ্যে প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছেই খরচ করার মতো অর্থ রয়েছে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে আছে ১৫.২ কোটি রুপি, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের রয়েছে ৯.৭ কোটি, দিল্লি ক্যাপিটালসের (সাবেক দিল্লি ডেয়ারডেভিলস) আছে ২৫.৫ কোটি, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর আছে ১৮.১৫ কোটি, মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের আছে ১০.৬৫ কোটি, চেন্নাই সুপার কিংসের আছে ৮.৪ কোটি, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের রয়েছে ৩৬.৪ কোটি ও রাজস্থান রয়্যালসের আছে ২০.৯৫ কোটি রুপি।
এদিকে মোস্তাফিজকে মুম্বাই ছাড়লেও, হায়দরাবাদ রেখেছে সাকিবকে
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে যখন মাঠে গড়াবে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), তখন বাংলাদেশ দল ব্যস্ত থাকবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে। তাই সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মোস্তাফিজুর রহমান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের ধরে রাখেনি পিএসএলের দলগুলো।
তবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) পরবর্তী মৌসুমের সময় কোনো খেলা নেই বাংলাদেশের, তাই টাইগার ক্রিকেটারদের পাওয়া- না পাওয়া নিয়ে সংশয় নেই দলগুলোর। তবু কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানকে আগেই ছেড়ে দিয়েছিল তার দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। তার বদলে দলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কককে।
মোস্তাফিজ দল হারালেও, আইপিএলে তার অগ্রজ সাকিব আল হাসানকে নিজেদের দলে রেখে দিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আইপিএলের সব শেষ মৌসুমে হায়দরাবাদের হয়ে ১৭ ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে ২৩৯ রান এবং বল হাতে ১৪ উইকেট নিয়ে দলকে রানারআপ করতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন সাকিব।
যে কারণে ডেভিড ওয়ার্নার, ইউসুফ পাঠান, রশিদ খান, বিলি স্ট্যানলেক, কেন উইলিয়ামসন, মোহাম্মদ নাবী, ভুবনেশ্বর কুমার, মানিশ পান্ডে, থাঙ্গারাসু নটরঞ্জন, রিকি ভুই, সন্দ্বীপ শর্মা, শ্রিভাস্ত গোস্বামি, সিদ্ধার্থ কাউল, খলিল আহমেদ, বাসিল আহমেদ ও দ্বীপক হুদার পাশাপাশি সাকিব আল হাসানকেও ধরে রেখেছে হায়দরাবাদ।
অন্যদিকে ২০১৮ সালের মৌসুমে মুম্বাইয়ের খুব বেশি ভালো করতে পারেননি মোস্তাফিজ। ৭ ম্যাচে মোটে নিয়েছিলেন ৭টি উইকেট। রান