ভারতের ওড়িশার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ওপর ফরমান জারি করা হয়েছে ৷বীর সুরেন্দ্র সাই ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি ছাত্রদের ফরমান জারি করা হয়েছে৷ ছাত্ররা ছাত্রীদের সঙ্গে কোনোভাবেই কথা বলতে পারবে না৷
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷
এই ফতোয়া ১ ডিসেম্বর ২০১৮ সুরেন্দ্র সাই ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি রোহিনি হল অফ রেসিডেন্স সহ পাঁচটি ছা্ত্রাবাসে এই সিদ্ধান্ত জারি করা হয়েছে৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই নিয়ম ভাঙতে গিয়ে ধরা পড়লে সেই শিক্ষার্থীকে কড়া শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে৷
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের ঘটনা আজ নতুন নয় এর আগে সত্যভামা বিশ্ববিদ্যালয়েও একই নিয়ম প্রয়োগ করেছিল ৷ স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছেলে-মেয়েরা কথা বললে জীবনে কুপ্রভাব পড়বে ৷ সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷
কিছু কিছু মানুষ ঘুমের মধ্যে কথা বলে কেন! জানেন কি? না জানলে এখনি জেনেনিন
ঘুমের মধ্যে কি ঘটছে, এটা তো মনে থাকে না। দেখা গেলো পাশে কেউ আছেন, পরদিন সকালে বেশ অনেক কথাই বলে দিচ্ছে আপনার সম্পর্কে বা কাজের, যে কথাগুলো তার জানার কথা না। তাহলে কীভাবে জানলেন! হয়ত আপনি জানেনই না ঘুমের মধ্যে কথা বলেন।
ছোট-বড় সবার মধ্যেই এই প্রবণতা দেখা যায়। যখন জেনে গেছেন ঘুমের মধ্যে কথা বলেন, এটি কিছুটা অস্বস্তি তৈরি করছে নিশ্চয়। এবার তো এটা থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে হবে।
ঘুমের মধ্যে কথা বলার কারণগুলো হচ্ছে:
• অসুস্থতা, দুর্বরতা
• পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া
• মানসিক চাপ
ঘুমের মধ্যে কথা বলা বন্ধ করতে যা করতে হবে:
• প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমানো এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করতে পারলে এই সমস্যা অনেকখানি কমে যাবে
• পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন
• রাতে ঘুমানোর আগে হালকা খাবার গ্রহণ করাই শরীর এবং ঘুমের জন্য ভালো
• সন্ধ্যার পর চা-কফি পান না করা
• মানসিক উদ্বেগের ফলে ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা দেখা যায়
• মানসিক চাপ কমাতে ঘুরতে যান, প্রিয় মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান, নিয়মিত ব্যায়াম করুন
• হাতের স্মার্টফোনটি কিন্তু ঘুমের সময় নষ্ট করে। ঘুমাতে যাওয়াও কম হলেও একঘণ্টা আগে ফোনটি হাতে নেওয়া যাবে না
• পাশের কাউকে বলে রাখুন যদি নিয়মিতই এমন ঘুমের মধ্যে কথা বলতে থাকেন তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
এক মাসে ওজন কমান ৫ কেজি(!) সাবধান_ এই ধরনের প্রলোভনে। একটি মানুষের ওজন নানা কারণে বেড়ে যেতে পারে। আবার বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষের ওজন , খাওয়া আর ভুল জীবনযাত্রার জন্য বেড়ে যেতে দেখা যায়।
আমরা সমাজে যারা দায়িত্বশীল বা এই পেশায় আছি তারা ‘এক মাসে ওজন কমান ৫ কেজি’ এই ধরনের অফার সাধারণের জন্য কখনোই দিতে পারিনা। এই ধরনের বিজ্ঞাপনের ফাঁদে কখনোই পা দেবেননা।
ভাবুন, ওজন কমা সম্পুর্ণ নির্ভর করে মানুষের শারীরিক অবস্থা বিশেষ করে মেটাবলিজম বা বিপাকের ওপর, জীবনযাত্রার ওপর, তার মানসিক অবস্থা এমনকি তার সামাজিক অবস্থার ওপরও।
দুজন ব্যক্তি, যাদের একই ওজন তারা যদি একই সাথে একই ডায়েট করে, তারপরও তাদের একমাসে একই ওজন নাও কমতে পারে। কেননা একই ওজন থাকলেও তাদের বডি ফ্যাট পারসেন্ট, ফ্রি ফ্যাট ম্যাস(free fat mass in kg), বডি ওয়াটার ( total ECF and ICF water), ম্যাসেল ম্যাস( Muscle mass), ট্রাংক ফ্যাট ( trunk fat) , বডি সেপ ( body shape / frame), হাড়ের ওজন ইত্যাদি ভিন্ন। তাই একই ডায়েট এ একই হারে ওজন কমা অসম্ভব ।
ভেবে দেখুন, যখন কোনো অসুখের জন্য এন্টিবায়োটিক খেতে হয়, তখন কারো দুই দিনে সুস্থ অনুভব হয় আবার কারো তিন দিনে। তাই বলে কোনো ডাক্তার বা ওষুধ কম্পানি অফার দেয়না যে, এই এন্টিবায়োটিক এ দুই দিনে ভালো হওয়া যায়।
ওজন কমাবার নামে নানা অফারগুলো নিরুপায় মানুষগুলো এক দুই বার ট্রাই করে ঠিকই কিন্তু তারপর আবারও ওজন বেড়ে হতাশা গ্রস্ত হয়ে পড়েন। যেমন একদিন ফল, একদিন সবজি, একদিন মাংস ইত্যাদি ছাড়াও নানা ক্রাশ ডায়েটের প্রতি মানুষ না বুঝে ঝুকে পড়েন। যা শরীরের ক্ষতি করে।
এটা করলে ওজন কমবে, এই খাওয়া খেলে ওজন কমবে, এই ওষুধ খেলে ওজন কমবে ….. কখনোই শুধু এসব আপনাকে আপনার গন্তব্যে পৌঁছাবে না। কিছুটা পরিবর্তন হলেও স্থায়ী কোনো সমাধান হবেনা। তাই নিজের আত্মবিশ্বসকে বাড়িয়ে, মনস্থির করুন এবং একজন দক্ষ ও এক্সপার্ট ক্লিনিক্যাল ডায়টিশিয়ান এর পরামর্শ নিন। তবে মনে রাখবেন , সফলতার সাথে ওজন কমাতে প্রয়োজন __