স্টাফ করেসপন্ডেন্ট: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার স্ত্রী তাহেরা আলমের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) দুদক পরিচালক কাজী শফিকুল আলম স্পেশাল ব্রাঞ্চের বিশেষ পুলিশ সুপার বরাবর এক চিঠিতে এ নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন।
ওই চিঠিতে বলা হয়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে বেনামে পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসা, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন, মানি লন্ডারিং করে বিভিন্ন দেশে অর্থপাচার এবং নিজ, স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে শেয়ার কেনাসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
এতে বলা হয়, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। ফলে অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।
আমির খসরু ও তার স্ত্রী যেন বিদেশে যেতে না পারেন, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চকে অনুরোধ জানানো হয়েছে এই চিঠিতে।
চলতি বছরের ১৩ আগস্ট আমির খসরুর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ২৮ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে নোটিস দেয়া হয়। তিনি হাজির না হয়ে ঈদের ছুটি ও নথিপত্র সংগ্রহ করতে না পারায় এক মাসের সময় চেয়ে আবেদন করেন। পরে তাকে ১০ সেপ্টেম্বর পুনরায় তলব করে। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর আমির খসরু দুদকের দেয়া নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন, যেটি খারিজ হয়ে যায়।
এদিকে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিসট্রিবিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মীর মসিউর রহমানসহ পাঁচজনের বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দুদক। বৃহস্পতিবার এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
তিতাসের বাকি যে চার কর্মকর্তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তারা হলেন ডিজিএম এস এম আবদুল ওয়াদুদ, ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস শাখার ব্যবস্থাপক শাহজাদা ফরাজী, সহকারী কর্মকর্তা আবু ছিদ্দিক তায়ানী এবং তিতাসের নারায়ণগঞ্জ শাখার মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান।
দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) বরাবর চিঠি পাঠিয়ে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ
জানিয়েছেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর তিতাসের আট কর্মকর্তাকে দুর্নীতির অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে চিঠি দেয় দুদক। আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিটার টেম্পারিং ও মিটার বাইপাস করে গ্যাস সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।