সরকারি চাকরিতে ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবীতে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অংগ সংগঠন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সন্তান কমান্ড এর নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ এর সভাপতিত্বে কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর ডেপুটি কমান্ডার এডভোকেট নুরুল হুদা, সন্তান কমান্ড এর যুগ্ম আহ্বায়ক বি এম মুরাদ, সদস্য সচীব সাব্বির আলম রিংকু, ডাঃ আল ওয়াজেদুর রহমান, শেখ কামাল হোসেন, মোহাম্মদ রাসেল, মাঈনুদ্দিন চিশতী, সৈয়দ ওমর খালেদ এপন, মোহাম্মদ মাসুদ, ফারহানা দিবা, বি এম মুরাদ, ইঞ্জিনিয়ার রাজিব আহমেদ।
কর্মসূচীতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর ডেপুটি কমান্ডার এডভোকেট নুরুল হুদা বলেন, কোনো মুক্তিযোদ্ধা কোনো ধরনের সুবিধার জন্য মুক্তিযুদ্ধে যায়নি। কিন্তু যখন মুক্তিযোদ্ধাদের সরকার মুল্যায়ন করেন, যখন ভাতা দেন, যখন সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তার পরিবারের জন্য কোটা রাখা হয় তখন মুক্তিযোদ্ধারা সম্মানিত বোধ করে। পুরো জাতি সম্মানিত হয়। যে জাতি তার গুনিদের, তার বীরদের সম্মানিত করতে পারেনা সেখানে গুনি জন্ম হয়না, বীরের জন্ম হয়না। সরকারি চাকরিতে কোটা তুলে দেয়া আবার তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর চাকরির জন্য কেটা রাখা এগুলির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মানিত করা হচ্ছে।
সন্তান কমান্ড এর নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে ৩০% কোটা ছিলো। যদি সেটা কোটা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধারা বা তাদের সন্তানরা চাকরি পেতো তাহলে প্রশাসনে ত্রিশ ভাগ থাকতো মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। কিন্তু আমরা শুনি প্রশাসনে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা মাত্র এক ভাগ। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্থানপন্থী যে অংশ সরকারি চাকরি করে গেছে মুক্তিযুদ্ধের পর তারা কখনো চায়নি মুক্তিযোদ্ধারা প্রশাসনিক চাকরি পাক। এরা সব সময় সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোনঠাসা করে রেখেছে , চাকরিচ্যুত করেছে। সেনাবাহিনীতে ষড়যন্ত্র করে শত শত মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে যাতে প্রশাসনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রাধান্য না থাকে। প্রশাসনকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাহীন করতে কোটার বিরুদ্ধে কেউ কেউ লেগেছে। সে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই আজ সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা উঠিয়ে দেয়ার জন্য অনেকে উঠে পড়ে লেগেছে।