ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের নিবন্ধন বাতিল

0
203

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট: নিবন্ধন আইনের শর্ত পূরণ না হওয়ায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রশিকার সাবেক চেয়ারম্যান কাজী ফারুকের ‘ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন’ নিবন্ধন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এর আগে জামায়াতে ইসলামী ও ফ্রিডম পার্টি ইসির নিবন্ধন হারায়। বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত জানায় নির্বাচন কমিশন।

এর ফলে এই দলটি আর তাদের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। অবশ্য দলটির কোনো ধরনের প্রভাব রয়েছে, এমন কোনো নমুনা গত এক দশকে দেখা যায়নি। যদিও প্রতিষ্ঠার আগে কাজী ফারুক রাজনীতিতে বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছিলেন। তার প্রশিকা সে সময় ছিল বেশ বড় এনজিও। আর সে সময় রাজধানীতে বেশ বড় বড় একাধিক সমাবেশ করেছিলেন।

বৃহস্পতিবার রাতে কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ দলটির নিবন্ধন বাতিলের তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘তাদের সারাদেশে কোন অফিস আমরা পাইনি। সময় দেয়ার পরও তারা তাদের তথ্য দেয়নি। তারা শর্ত পূরণ করেন নাই এবং তাদের কাছ থেকে আমরা যে প্রতিবেদন চেয়েছিলাম তা দাখিল করেন নাই।’

আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে এক তৃতীয়াংশ জেলা ও ১০০টি উপজেলায় কমিটি অথবা থানায় কার্যালয় থাকতে হয়। ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন শর্ত পূরণ করেই নিবন্ধন পেয়েছিল।

চলতি বছরের জুনে নিবন্ধিত দলগুলোর বিষয়ে যাচাই বাছাইয়ের সময় ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলনের কাছে এসব কার্যালয় ও সাংগঠনিক কমিটির বিষয়ে তথ্য প্রমাণ চাওয়া হয়। কিন্তু বেঁধে দেয়া ১৫ দিনের মধ্যে তারা এসব তথ্য দেয়নি। পরে তাদেরকে আবার ১৫ দিন সময় দেয়া হয়। সে সময়ও তথ্য দেয়নি তারা।

২০০৮ সালে মোট ৪২টি দলকে নিবন্ধন দেয়া হয়। কিন্তু শর্ত ভঙ্গ করায় ২০০৯ সালে ফ্রিডম পার্টির এবং ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here