১ ঘন্টা মুঠোফোন বন্ধ করে প্রতীকী ধর্মঘট

0
200


অযৌক্তিক ভয়েজ কলরেট বৃদ্ধি,ইন্টারনেটের মূল্য সমন্বয় ও টেলিকম খাতে নৈরাজ্য বন্ধে ১ ঘন্টা মুঠোফোন বন্ধ করে প্রতীকী ধর্মঘট পালন করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এই প্রতীকী ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচিতে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, টেলিফোন খাতে বর্তমানে নৈরাজ্য দেশের যে কোন সেক্টরকে হার মানিয়েছে।গত ১৪ ফেব্রুয়ারীতে সরকার যখন ৪ জি চালু করে সরকার সে সময় হঠাৎ করে সিম রিপলেসমেন্ট এর নামে গ্রাহকদেএ কাছে অতিরিক্ত ১২০ টাকা আদায় করা হয়।চলতি বাজেটে ইন্টারনেটের উপর ১০ শতাংসজ ভ্যাট প্রত্যাহার করলেও আজও তা বাস্তবায়ন করা হলো না।

মহান সংসদে পাশ হওয়া বাজেয়ে কি কারণে আজও বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না তা জাতির কাছে একটি প্রশ্ন? গত ১ অক্টোবর রাত ১২ টা থেজে নাম্বার অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর পরিবর্তন শুরু হয়। এখানেও দেখা যায় পূর্বের নির্ধারিত ৩০ টাকা ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আদায় করার কথা থাকলেও এমএনপি চালুর দুদিন পূর্বেই জানা গেল এনএমপি চার্জ ৫০ টাকা,ভ্যাট ১৫ শতাংসজ সেই সঙ্গে সিম রিমপেলসমেন্ট ভ্যাট ১০০ টাকা গ্রাহককে দিতে হবে।

এভাবে একের পর এক প্রযুক্তির সম্প্রসারণের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে অযৌক্তিক ভাবে জোর পূর্বক অর্থ আদায় করে নেয়া হচ্ছে। আপারেটরদের দৌরাত্বের কাচজে অসহায় নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।গ্রাহকদের সুরক্ষা দিতে সম্পর্ণভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মহিউদ্দীন আহমেদ আরো বলেন, আমরা দাবি জানিয়ে আসছিলাম অফনেট অননেট বাতিল করে ২৫ পয়সা কল করার,কিন্তু দু:খের বিষয় আজ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে আমারা কোন ব্যাখ্য বিশ্লেষণ পাইনি। যদি কলরেট ও ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর সেই সাথে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারন সহ কথায় কথায় অতিরক্ত অর্থ আদায় বন্ধ করা না হলে আমরা সারা দেশের গ্রাহকদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।

কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন,গণসংহ‌তি আ‌ন্দোল‌নের সমান্বয়ক জুনা‌য়েদ সা‌কি, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের প্রোগ্রাম কো অর্ডিনেটর কাজী মাহফুজ,সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির হিরু, জাগো বাঙালীর সভাপতি হাবিবুর রহমান, সংগঠনের মহাসচিব এ্যাড. আবু বক্কর সিদ্দিক, আইন সম্পাদক এ্যাডভোকেট ইসরাত হাসান প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here