আবারও আলোচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিসংশন। বিতর্কে সরগরম মার্কিন কংগ্রেস, বিচার বিভাগ আর গণমাধ্যম। যে কেলেঙ্কারিতে ট্রাম্প জড়িয়েছেন তাতে অভিসংশিত হতে পারেন ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, জেলেও যাওয়া লাগতে পারে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব নেয়ার কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচনে রুশ সংযোগ প্রশ্নে ট্রাম্পের অভিসংশনের বিষয়টি আলোচনায় আসে। কিন্তু রুশ সংযোগ তদন্তাধীন থাকায় এতদিন কোনো পদক্ষেপ নেয়া যায়নি। এবার শক্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে মনে করছেন বিরোধী ডেমোক্রেটিকরা। তাছাড়া ৬ নভেম্বর মধ্যবর্তী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রতিনিধি পরিষদে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে ডেমোক্র্যাটরা। এখন অভিসংশন প্রক্রিয়া শুরু করা আরও সহজ হয়ে গেছে। জানুয়ারিতে প্রতিনিধি পরিষদের দায়িত্ব বুঝে নেয়ার আগেই অভিসংশনের বড় কারণ খুঁজে পেলেন ডেমোক্র্যাটরা। অন্তত দুজন ডেমোক্র্যাট রোববার ট্রাম্পের অভিসংশন সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন।
গত রোববার প্রতিনিধি পরিষদের শীর্ষ ডেমোক্র্যাট নেতারা বলেছেন, ঘুষ দেয়ার মামলাটি যদি আদালতে প্রমাণ হয় তাহলে ট্রাম্পের অভিসংশনের ক্ষেত্রে এটাই যথেষ্ট হবে। সেক্ষেত্রে তিনিই হবেন অভিসংশিত ও জেলে যাওয়া প্রথম প্রেসিডেন্ট। সোমবার শিকাগো ট্রিবিউন ও সিএনএন এসব তথ্য জানিয়েছে।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে র সময় অবৈধভাবে অর্থ পরিশোধের নির্দেশ দেয়ার জন্য ট্রাম্পের জেল হওয়ার সম্ভাবনা আছে । নির্বাচনের সময় অর্থের বিনিময়ে দুই পর্নো তারকার মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করেন ট্রাম্প। দুই পর্নো তারকার সঙ্গে অবৈধ যৌন সম্পর্ক গোপন রাখার জন্য ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোহেন ট্রাম্পের হয়ে অর্থ পরিশোধ করেছিলেন ।
এরপর ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা শিবির ও মস্কোর মধ্যে সম্ভাব্য যোগাযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলার। আইন মন্ত্রণালয়ের তদারকিতে বিস্তৃত এই তদন্তের কারণে ট্রাম্পের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। একে একে প্রাপ্ত সব তথ্য-প্রমাণ প্রকাশ করছেন মুলার। মুলারের বরাত দিয়ে সোমবার ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ট্রাম্পের ১৮ মাসের প্রচারণা এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার সময়েও তার অন্তত ১৪ সহযোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রুশ কর্মকর্তারা।