আবারও পদোন্নতির জন্য তৎপর হয়ে উঠেছেন নি য়ম বহির্ভূতভাবে দেশের বাইরে অবস্থান করা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার গোলাম হায়দার ও উপ-পরিচালক আতিকুর রহমান। বিআরটিএ সদর কার্যালয়ের অফিস আদেশ নং ৩৫.০১.০০০০.০২০.০৮.০২২.২১-২২৭ তারিখ ০২/০৬/২০২১ মোতাবেক প্রেষণে নির্দেশ অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের লামার ইউনিভার্সিটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অধ্যয়নের অনুমতি প্রাপ্ত হন। মাস্টার্স কোর্সের জন্য কিছু আবেদনের অফার লেটারের সময়সীমা ছিল ২০.০৫.২০২৩।পরবর্তীতে আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চশিক্ষা নীতিমালা ২০২৩ এর ২৫(ক)(i)অনুযায়ী ৩১/১২/২০২৩ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। পিএইচডি এর জন্য দুই বছরের মেয়াদ চেয়ে ১৩/১২/২০২৩আবেদন করেন।
কিন্তু আইন বলছে বিদেশে অবস্থানের সময় এ ধরণের আবেদনের কোন সুযোগ নেই। যার ফলে কর্তৃপক্ষ তার আবেদন মঞ্জুর করেন নাই। সদর কার্যালয়ের অফিস আদেশ নং ৩৫.০৩.০০০০.০০১.৭৮.০৯১.১২-২৫৯৬ তারিখ ১৯/১২/২০২৩মূলে তাকে কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে তিনি মাস্টার্স এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বিগত ২৪/১২/২০২৩ আবেদন করেন প্রশিক্ষণ ওউচ্চ শিক্ষা নীতিমালা রোজার ২৩ এর পরিপন্থী এমতাবস্থায় পুনরায় সদর কার্যালয়ের অফিস আদেশ নং ৩৫.০৩.০০০০.০০১.৭৮.০৯১.১২-২৬৪৯ তারিখ ৩১/১২/২০২৩ মোতাবেক পুনরায় দেশে ফিরে এসে কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে তিনি বিগত ১৯/০৬/২০২৪ তারিখে কর্মস্থলে যোগদান করেন। অর্থাৎ নিয়মবহির্ভূতভাবে ছুটি ছাড়া ৬ মাস অফিস না করে বিদেশে অবস্থান করেন। যা সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ২০১৮ এর ৩(খ) অনুযায়ী অসদআচরণের শামিল। বর্তমানে তিনি তৎপর হয়ে পড়েছেন পদোন্নতির জন্য।
ঢাকা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি মোঃ হানিফ খোকন দাখিলকৃত অভিযোগে ঢাকা মহানগরীতে ফোর স্ট্রোক সিএনজি চালিত অটোরিকশা প্রতিস্থাপনকালে ১১২ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা দুর্নীতির সংক্রান্ত অভিযোগ দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনে তারিখ ৩১/১২/২০২৩ ও ০৪/০২/২০২৪।তৎকালীন ঢাকা মেট্রো টু সার্কেলের সহকারী পরিচালক ছিলেন গোলাম হায়দার এই দুর্নীতির হিসেবে হানিফ খোকন তার অভিযোগে উল্লেখ করেন।
আরেক দুর্নীতিবাজ মোঃ আতিকুল ইসলাম উপপরিচালক চলতি দায়িত্ব বিআরটিএ খুলনা বিভাগীয় অফিস। বিআরটিএ প্রশাসন শাখার স্মারক নং ৩৫.০৩.০০০০.০০১.১২.১৩৪.২৩-৩২৯ তারিখ ২৫/০২/২০২৪ জ্যেষ্ঠতাক্রম তালিকা তিন নম্বর লিস্টে থাকা আতিকুল ইসলাম তার বিগত পাঁচ বছরের (২০১৮-২০২২)এরমধ্যে ২০২২ এর ছাড়া অন্য চার বছরের বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন নেই। কিন্তু তিনিও নিয়ম বহির্ভূতভাবে পদোন্নতির জন্য বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন। উক্ত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিভাগীয় মামলা আওতায় এনে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের অনেকেই।
 
		