পেঁয়াজ কুচি, মরিচ কুচি, লবণ ও সরিষার তেল দিয়ে থানকুনি পাতার ভর্তা খেয়েছেন কখনও? কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, পুষ্টিগুণের দিক থেকেও অনন্য এই ভর্তা। ঔষধি গুণসম্পন্ন থানকুনি পাতা খেতে পারেন রস করে অথবা বেটেও। তরকারিতে কুচি করে মিশিয়ে দিতে পারেন। চাইলে চায়ের সঙ্গেও মিশিয়ে নিতে পারেন এটি। নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে দূরে থাকতে পারবেন বিভিন্ন রোগ থেকে।
জেনে নিন থানকুনি পাতার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে-
হজম শক্তি বাড়াতে পারে থানকুনি পাতা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, থানকুনি পাতায় উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ যাতে ঠিক মতো হয় সেদিকে খেয়াল রাখে।
পেটের সমস্যা লেগেই থাকে? নিয়মিত থানকুনি পাতা খান, দূর হবে পেটের সমস্যা।
অ্যাসিডিটি দূর করতেও জুড়ি নেই থানকুনি পাতার। দুধের সঙ্গে মিসরি ও থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে পান করুন প্রতিদিন।
কাশি ও ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা দূর করতে থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খান।
খাবার এবং আরও নানাভাবে একাধিক ক্ষতিকর টক্সিন আমাদের শরীরে ও রক্তে প্রবেশ করে। প্রতিদিন সকালে অল্প পরিমাণ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানগুলি বেরিয়ে যায়।
থানকুনি পাতায় উপস্থিত অ্যামিনো অ্যাসিড, বেটা ক্যারোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফাইটোকেমিকাল ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে। পাশাপাশি বলিরেখা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এটি। ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে ও বলিরেখা পড়ে না সহজে।