মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ১৫০ মিটারের তিনটি স্প্যান যুক্ত হওয়ায় পদ্মা সেতুর ৪৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে জাজিরা প্রান্তে। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে চতুর্থ স্প্যান ‘৭ই’পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। তবে পদ্মার তীব্র ঢেউ এবং নৌরুটে পাইলিংয়ের কাজে ব্যবহৃত ক্রেন ও যন্তাংশ রাখার কারনে বিলম্ব হচ্ছে ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে স্প্যন পৌছাতে।
পদ্মা সেতু প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যেই কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে শেষ হয়েছে রংয়ের কাজ। ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলার প্রস্তত রয়েছে চতুর্থ স্প্যান বসানোর জন্য। বৈরি আবহাওয়া,পদ্মার তীব্র ঢেউ, চ্যানেলে পাইলিংয়ের কাজে ব্যবহৃত ক্রেন, যন্ত্রাংশের কারনে স্প্যান রওয়ানা হতে বিলম্ব হচ্ছে।
স্প্যান বহনকারী “তিয়ান ই” ভাসমান ক্রেনটি চ্যানেল সরু থাকায় পাড়ি দিতে পারবে না। তব্রে ক্রেন সড়ালে এই চ্যানেল দিয়ে স্প্যান বহনকারি ভাসমান ক্রেনটি পাড়ি দিতে পারবে। তবে শিগগিরই এই বিষয়গুলো সমাধান করে স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু হবে। ২-৩ দিনের মধ্যেই স্প্যান রওয়ানে হবে বলে আশাবাদী প্রকৌশলীরা।
স্টিল স্ট্রাকচারের দ্বিতল পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। সেতুর ভিতর দিয়ে চলবে ট্রেন আর উপর হবে সড়কপথ। সেতুর নির্মাণ শেষ হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলার সাথে সড়ক ও রেলপথে সরাসরি যুক্ত হবে রাজধানী। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর বসে প্রথম স্প্যানটি।
এরপর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যানটি বসে। ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের ওপর ১১ মার্চ বসে তৃতীয় স্প্যানটি।