শওকত আহসান ফারুক: আমি রসায়ন বিষয় নিয়ে পড়েছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বেড়ে উঠা কুমিল্লা শহরে, শৈশব কেটেছে জন্মভুমি হাটখোলা কুমিল্লা গ্রামের বাড়িতে। শহর ও গ্রামের রসায়ন নিয়ে গড়েছি নিজের জীবন। এখন আবসর জীবন যাপন করছি। পঁয়ষট্টি বৎসরের জীবনে ফিরে দেখা অতীত ও ঐতিহ্য নিয়ে লিখছি, রুম নাম্বার ১৪৬। সেটিকেই এখানে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে।
৭.
একজন কথা সাহিত্যিকের প্রথম বই হাতে এলো, ‘নন্দিত নরকে’। বেশ মনে আছে কুমিল্লা কলেজ রোডে প্যানোরমা লাইব্রেরী থেকে কেনা, সাড়ে তিন টাকায়। বাসায় ফিরে এক বসাতেই পড়ে ফেল্লাম, ঘোর লেগে গেলো। নতুন লেখকের বইয়ের প্রতি আমাদের আগ্রহ বরাবর, একটু বেশী, প্রথম লেখা মন ছুঁয়ে গেলো। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়, মতি নন্দী, হাসান আজিজুল হক, শওকত আলী, মাহমুদুল হক প্রমুখ লেখকদের গল্প উপন্যাস পড়ছি নিয়মিত। হুমায়ুন আহমেদ’ নামের সাথে পরিচয় হয়নি, তবে ‘নন্দিত নরক’ পড়ে, চেনা হয়ে গেলো সেদিনই, এতো আপন করে কিভাবে লেখে?
লেখক পরিচিতি দেখলাম ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ছাত্র, মহসিন হলে থাকেন। ডঃ আহম্মদ শরীফ ভূমিকা লিখেছেন, ১৯৭০ লিখিত হলেও মুক্তিযুদ্ধের পরে ১৯৭২ সালের কথা সাহিত্যিক আহমেদ ছফার উদ্যোগী হয়ে খান ব্রাদার্স থেকে বইটি প্রকাশ করার ব্যবস্থা করে দেন, কাইয়ুম চৌধুরী করে দিলেন প্রচ্ছদ। নন্দিত উপস্থাপন।
একটি স্বল্প দৈঘ্য উপন্যাস, পরিসর ছিল মাত্র ৭০ পৃষ্ঠা। অনেক ক্ষেত্রে ছোট গল্পের দৈর্ঘ্য এর চেয়ে বেশী হয়, এই স্বল্প পরিসরে হুমায়ুন আহমেদ উপন্যাসে এমন আবহ তৈরি করেছেন আমরা মুগ্ধ। প্রথম উপন্যাসেই হুমায়ূন আহমেদ ব্যাপক পাঠকের মুগ্ধ মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম ও সার্থক।
প্রথম পরিচয়
রসায়ন বিষয়ে ভর্তি হলাম, কার্জন হলে আমাদের ডিপার্টমেন্টই একটা ক্যান্টিন আছে, আমি যখন ভর্তি হই, সম্ভবতঃ হুমায়ুন আহমেদের পড়া শেষ করে এম.ফিল করছেন। সিগ্রেট আর চায়ের সাথে আড্ডা, ভীষণ নিভৃতচারী, কথা কম বলেন তবে শোনেন বেশী, মিতভাষী।
— আপনার ‘নন্দিত নরকে’ পড়েছি এক নিশ্বাসে, সেদিন থেকেই ইচ্ছা আপনার সাথে পরিচিত হবার, দেখবো আপনাকে। সোনালি ফ্রেমের গোল চশমা এনটিক টাইপের হাতে সিগ্রেট টেবিলে চায়ের কাপ, চুমুক দিয়ে বললেন।
— আপনি কি রসায়নেই পড়েন?
— জী, এবার ভর্তি হয়েছি, গল্পের বর্ণনায়িত বাড়িটা, আপনি যখন কুমিল্লায় ছিলেন সেই বাড়িটার সাথে মিল খুজে পাই।
— আপনি কুমিল্লার ছেলে, আমার বাবা কিছুদিন কুমিল্লায় ছিলেন, বাড়িটা চেনেন নাকি।
— বাড়িটা চিনি, ঠাকুর পাড়ায় যেতে ‘মধ্যমনির’ পাশে, জাফর ইকবাল আমার ব্যাচমেট, আপনার ছোটবোন শিখুর সাথে ভালো পরিচয় আছে।
— ও তাই, চা নিন, সিগ্রেট এগিয়ে দিলেন, গল্পটা লেখার সময় কিছুদিন কুমিল্লা ছিলাম, তাই মিলে গেছে, আপনাদের কুমিল্লার খুব সুন্দর জায়গা, আমার বেশ লেগেছে, জাহাঙ্গীর আমার রুমমেট চিনেন নাকি?
— রেসকোর্সের জাহাঙ্গীর, রশিদ মঞ্জিলের।
— হুম, ১৯৭১ সালের মার্চ রাতে ডিনামাইট দিয়ে যেই বাড়িটা গুড়িয়ে দিয়েছিলো।
— জী, ভালোভাবেই চিনি, অামার নিকট আত্মীয়, মামা হয়, ছোট ভাই খোকন আমার বন্ধু।
— নতুন বই ধরছি শঙ্খনীল কারাগার’ সহসাই পাবেন, আপনি এখন আরো কাছের লোক।
এভাবেই পরিচয়, নিয়মিত পাবলিক লাইব্রেরীর চত্তরে শরীফ মিয়ার ক্যান্টিনে, বিকালের আড্ডায় দেখা হয়, কথা হয়। ততোদিনে, ‘শংখনীল কারাগার’ বেরিয়েছ, বাংলা গদ্য সাহিত্যে একজন একটি নতুন প্রাঞ্জল নক্ষত্র, জয় করবে নিশ্চিত। এখন রসায়ন বিভাগে শিক্ষক, ২য় বর্ষে ভৌত রসায়ন পড়াবেন। আমার প্রথম ক্লাশ, কথা সাহিত্যিকের অপেক্ষায় আছি কিভাবে পড়াবেন রসায়ন, সেই প্রতীক্ষা, প্রথম ক্লাশেই দিলেন চমক!
এককাপ চা
সবাইকে আপনি করেই বলেন। আজ আমি আপনাদের এককাপ চা বানানো শিখাবো, বলে বুনসেন বার্ণার জ্বালালেন, একটি বিকারে পানি নিয়ে চাপিয়ে দিলেন। পানি ফু্ঁটে উঠলো। থার্মোমিটার দিয়ে মেপে দেখলেন ১০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, এবার একচামচ চিনি ও এক চামচ চাপাতা দিয়ে ৩০ সেকেন্ড ফুটিয়ে, বার্ণার বন্ধ করে দিয়ে ঢাকনি দিয়ে ঢেকে দিলেন, ১ মিনিট অপেক্ষা করুন। হয়ে গেলো সুবাসিত এককাপ চা।
আপনাদের বিকেলে, তিন ঘন্টার ব্যবহারিক ক্লাশ থাকে প্রতিদিন, ড্রয়ারে চা পাতা ও চিনি রাখবেন, ক্লাশে চা পান করবেন, মন প্রফুল্ল থাকে। সুবাসিত চায়ের রেসিপিটা, আমার হুমায়ুন ভাইয়ের কাছেই শেখা।
৮.
বিশ্ববিদ্যালয় এসে নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, বলাকা এই সব জায়গার সাথে সম্পৃক্ততা আরো বেড়ে গেলো। যদিও আগে এখনে আসেছি, বহুবার, ছাত্রলীগের সম্মেলনে। বলাকায় সিমেনা দেখতে এসেছি কুমিল্লা থাকতেই। ১৯৬৯ সালে ছাত্র রাজনীতি সাথে যুক্ত হবার পর ছাত্রলীগ কার্যালয়ে এসেছি বলাকা বিল্ডিং-এ। ১৯২১ সালে নীলক্ষেত এলাকার খালি জমিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠে।
ইংরেজ শাসন আমলে এ’দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নীল চাষ শুরু হয়, নীল লাভজনক ফসল, এখান থেকে নীল নিয়ে ব্রিটিশরা সারাবিশ্বে নীল রপ্তানি করতো, এই ঢাকা নগরীতে সেই সময় নীল চাষ হয়েছে, বর্তমান এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অত্র এলাকার বিরাট প্রান্তর জুড়ে দীর্ঘকাল নীল চাষ হয়েছে, এখানে অতি উন্নতমানের নীল উৎপাদন হতো, প্রচুর নীল উৎপাদন হতো বলেই জায়গার নাম নীলক্ষেত, ক্ষেত অর্থ জমি, নীল চাষের জমি বলেই নামকরণ হয়ে গেলো নীলক্ষেত। নীলক্ষেত নামকরণ সার্থক নামকরণ।
ভাবতে অবাক লাগে এখানে সেদিনও কোন বসতি ছিলোনা শুধু চাষের জমি, আমরা এখানে এখন দাপটের সাথে ঘুরে বেড়াই। ১৮৪৭ সালে পাকিস্তান হবার ১০০ বছর আগে, ঢাকায় ৩৭ টি নীলকুঠি ছিল। ঢাকা এক সময় ছিলো হাতীর শহর, তারপর ঘোড়া গাড়ির শহর এখন রিক্সার শহর।
নোভেল্টি আহা!
নীলক্ষেতর পশ্চিম পাশে, এ্যালিফেন্ট রোডে একটি আধুনিক মার্কেট স্থাপন করার পরিকল্পনা নেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের চিফ মিনিস্টার নুরুল আমিন ১৯৫২ সালে। ‘৫০ দশকের মাঝামাঝি সময় পূর্ণ কাঠামো নিয়ে বর্তমান নিউমার্কেট চালু হয়। এই মার্কেট স্থাপনের মাধ্যমে ঢাকা আধুনিকতার ছোঁয়া পেলো।
পুরাতন ঢাকার অবস্থিত মার্কেটে কেনাকাটা জন্য স্বস্তিদায়ক নয়, অনেক ঘনবসতি ও গোলযোগপূর্ণ, পথঘাট সরু, আর রিক্সায় ঠাসা, আধুনিকায়নে ছিলো অনেক সীমাবদ্ধতা। এই সব বিবেচনা করে নুরুল আমিন নতুন একটা আধুনিক বাজার নির্মাণের উদ্যোগ নেন, নাম রাখেন নিউমার্কেট। তিনি তখন ‘বর্ধমান হাউজে’ থাকেন, এটা ছিলো প্রাদেশিক চিফ মিনিস্টারের সরকারী বাস ভবন। যার নির্দেশে ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি বাঙলা ভাষা আন্দোলনের মিছিলে গুলি চলে, কাকতালীয় হলেও বর্তমানে সেই বাড়িটি এখন ‘বাংলা একাডেমী’।
‘৬০ দশকে প্রথম দিকে ঢাকায় এলে যোগীনগর উঠতাম। বেশ মনে পড়ছে যোগীনগর থেকে ঘোড়ার গাড়ি করে নিউমার্কেট এসেছি, গাড়ি নিয়ে ভিতরে ঢুকে কেনাকাটা করে, আবার সেই গাড়িতে ফিরে গিয়েছি, সাথে ছিলো জ্যাঠা জ্যেঠি রাগীব ও বাবা। বেশ আনন্দঘন ছিলো সেই দিনগুলো, ঘোড়ার খুরের শব্দ এখনো মন আন্দোলিত করে। নিউমার্কেট নেমে কেনাকাটা করে, একটা দোকানে আইসক্রিম খেয়েছি নামটা মনে নেই তবে স্বাদ লেগে আছে এখনো।
নিউমার্কেট ঢাকার প্রথম আধুনিক বিপনী বিতান। ত্রিভুজাকৃতির যার তিনদিকে সুউচ্চ মিনার, আনেক প্রশস্ত ও সুবিন্যস্ত। কেনাকাটার পাশাপাশি সময় কাটানো, আড্ডার জন্য আমাদের সবচাইতে জনপ্রিয় জায়গা নিউমার্কেট।
নোভেল্টি’ আইসক্রিম সেইসময় নামটা মনে ছিলো না, এখন প্রায়ই যাই সেখানে, বইয়ের দোকান, স্টেশনারিজ, কাপড়চোপড় নিউমার্কেট একমাত্র ভরসা। বুয়েট, ঢাকা কলেজ, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ইডেন কলেজ সবই নিউমার্কেটের কাছাকাছি বিধায় সবসময় জমজমাট।
আমাদের জনপ্রিয় স্থানগুলোর মধ্যে নিউমার্কেট অন্যতম। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাশে হওয়ায় সবার একবার নিউমার্কেট যাওয়া চাই। ওখানেই দেখা হয় কোন প্রিয়জনের সাথে, নোভেল্টি! ঠান্ডা আইসক্রিমের সাথে রোমান্স, আহা!
৯.
লাভলেন
বিকেল বেশ কাটে লাভলেনে, কখনো দলবেধে কখনো জোড়ায় জোড়ায় কখনো একা একা, লাভলেন প্রিয় জায়গা। মন ভালো নেই চলো লাভলেনে যাই।নজোড়া বাড়ির সেই মেয়েটা এখন লাভলেনে থাকে, পথ থেকেই রুম দেখা যায়, গোলাপি টাওয়াল রোদ্রে দিয়েছে, ক্লাশ শেষে স্নান করে ডাইনিং খেয়ে, একটু ভাতঘুম দিয়ে এখনি উঠেছে, আড়মোড়া ভেঙে একটু তাকালো পথের দিকে কেউ এলো কি না।
ভাতঘুম নতুন করে সবাই ডাকে ন্যপ, আমি এটাকে ভাতঘুম বলি। ঘুমঘুম মুখ আমার ভীষণ ভাললাগে, আদুরে আদুরে লাজুক লজ্জাবতী। তখন লাইব্রেরীর গেটটা এমন ছিল না, এখন যেখানে আধুনিক ভাষা ইনিস্টিটিউট এখানে ছিল একটা ছোট মার্কেট। কিছু স্থাপনা ছিল, ‘অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস’ নামে একটা বইয়ের দোকান ছিল, নতুন কোন বই বেরুলে এখানেই পাওয়া যায় সবার আগে।
লাভলেন যেখান থেকে শুরু সেখানে ছিল একটা হোটেল, একটা মুদি দোকান, সেলুন, লন্ড্রি, রঙতুলির দোকান, কুপি জ্বালানো চা সিগ্রেটের টংঘর খুব জমজমাট ছিল, সেদিনের লাইব্রেরীর কর্নার, দক্ষিণ দিকে রোকেয়া হল থেকে শুরু করে, সামশুন নাহার হল হয়ে জগন্নাথ হলের পাশের পথটা আমাদের প্রিয় ‘লাভলেন’।
নতুন একটা বই হাতে এলো ‘কাগজের বউ’ নামেই চমক, আমরা সাধারনতঃ ভাগাভাগি করে বই কিনেছি, ছোট বই লাইব্রেরীর চত্তরে বসেই পড়ে ফেল্লাম।
‘খোঁচা শব্দটা কোত্থেকে এলো মশাই? ছুঁচো থেকে নাকি, হাতটান শব্দটারই বা ইতিহাস কি? কিংবা দু’ কান-কাটা কথাটাই বা অমন অপমানজনক কেন? অবশ্য অপমান কথাটারও কোন মানে হয় না। অপমান মনে করলেই অপমান। আমার যা অবস্থা তাতে অপমান গায়ে মাখাতে যাওয়াটাও এক লাটসাহেবী সৌখিনতা। ‘
এভাবে যদি উপন্যাস শুরু হয় শেষ না করে কি উঠা যায়। ৩০০ পাতার বিশাল উপন্যাসের এর চেয়ে, ছোট উপন্যাস কাগজের বউ’ মনছুঁয়ে দিল, অসাধারণ সব চরিত্র। প্রথমদিকে সাধারণ গল্প মনে হলেও, শেষের দিকে একেবারে unpredictable, আমাদের আড্ডায় বই পড়ে আলোচনা হতো নিয়মিত। অনেক বৎসর আগে লেখা তবুও কতো অাধুনিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সবার প্রিয় কথা সাহিত্যিক।
স্বাধীনতার পর পর ভার্সিটি এলাকায় খালি জায়গা গুলোতে, বস্তি টাইপের অনেক বাঁশের ছাপড়া গড়ে উঠেছে। মানুষ নগরমুখী, নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষও বাদ যায়নি, চলো চলো ঢাকা চলো, বান ভাসি, নদী ভাঙা, পালিয়ে বেড়ানো, রাত বিনোদিনী, ছ্যাচরা চোর, ঝালমুড়ি ওয়ালা, পালিয়ে থাকা রাজাকার সব এখন ঢাকায়, দিনে দিনে বেড়ে গেলো বাঁশের ছাপড়া।
লাভলেনের একটু পশ্চিমে এগুলেই, ‘গুরুদুয়ারা নানকশাহী’, শিখ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়, ইতিহাসবিদদের ধারণা প্রায় চার শত কিংবা তারও আগে ১৬০৬ থেকে ১৬২৮ খ্রিস্টাব্দে এটি নির্মিত হয়েছে। তখন বাংলার শাসনভারের দায়িত্বে ছিলেন সম্রাট জাহাঙ্গীর। ষষ্ঠ শিখ গুরু হর গোবিন্দ, বাংলায় শিখ ধর্ম প্রচারের উদ্যোগ নেন, তাহার প্রচেষ্টায় গুরু দুয়ারা নানক শাহী উপাসনালয়টি গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকার পর ১৮৮৩ সালের দিকে এটিকে সংস্কার করা হয়। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে এ উপাসনালয়টিকে পুনরায় সংস্কার করে বর্তমান রূপে আনা হয়েছে।
গুরু দুয়ারাটি পূর্বমুখী করে বর্গাকার ভিত্তির উপর স্থাপিত। উত্তর পশ্চিম ও পূর্ব দিকের দেয়ালে পাঁচটি প্রবেশদ্বার আছে। কেন্দ্রীয় কক্ষের চারদিকে রয়েছে রয়েছে প্রশস্ত বারান্দা। বারান্দার প্রতিটি কোণে রয়েছে একটি করে মোট চারটি কক্ষ। বারান্দার পরে রয়েছে তিনটি করে খিলান বিশিষ্ট প্রবেশপথ, ঢাকার প্রাচীন স্থাপনা গুলোর মধ্য অন্যতম।